সব
গোয়াইনঘাটে ৪ ইউপিতে ভোট যুদ্ধ আজ। উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন বুধবার।
উপজেলায় ৪টি ইউপি নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে সবধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন জনরায়ের অপেক্ষা। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে আশাবাদি প্রার্থীরা ও সাধারণ জনগণ।
উপজেলার ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত নোকা মার্কার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু ঘোড়া, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে আব্দুল মুতলিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক ভূঞা আনারস প্রতীক, মোঃ শামীম আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আক্কাস আলী শেখ হাতপাখা প্রতীক। এই ইউনিয়ন থেকে মোঃ মাসুদ আলম তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন থেকে ৫ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুস সালাম, বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন পারভেজ আনারস প্রতীক, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মালিক ঘোড়া প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুমিন চশমা প্রতীক ও জমিয়ত উলামায়ের মাওলানা মুফতি আমির আহমদ খেজুর গাছ প্রতীক।
১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন থেকে ৫ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ ফারুক আহমদ, বিদ্রোহী প্রার্থী লোকমান হোসেন (সিকদার) আনারস প্রতীক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোকমান হোসেন হাতপাখা প্রতীক, আব্দুর রহিম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান ঘোড়া প্রতীক।
১২ নং গোয়ানঘাট সদর ইউনিয়ন থেকে ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র পাল ছানা, বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রব্বানী সুমন আনারস প্রতীক, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক, জমিয়তে উলামা মাওলানা আবুল খায়ের খেজুর গাছ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিবুর রহমান চশমা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসাইন আহমদ মোটরসাইকেল ও এম এ রহিম অটো রিস্কা প্রতীক।
এই ইউনিয়ন থেকে আরশ আলী কালামিয়া ও নাছির উদ্দিন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন করে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে প্রতিটা ইউপির প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমাদানের পর থেকে প্রতিক বরাদ্দের আগেই প্রচারনায় ব্যস্ত ছিলেন। কুশল বিনিময় থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক পর্যন্ত করেছেন। গতকাল প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রচারণা পুরোদমে চলেছে।পশ্চিম জাফলং, সদর, মধ্য জাফলং ও পূর্ব জাফলংয়ের প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, স্টিকার আর রং বে-রংঙ্গের প্রচার কার্যক্রম দেখা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টার দিয়ে সাজানো হচ্ছে প্রতিটা কেন্দ্র।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার ( ১ নভেম্বর ) সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল ২ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে ভোটকেন্দ্র গুলোতে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ২৩ জন চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ও ১৭৩ জন সাধারন সদস্য পদসহ তিন পদে মোট ২৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
এছাড়া ৪টি ইউনিয়নের ৪০টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্য ৬৬ হাজার ১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ৩২ হাজার ১৩১ জন।মোট ভোটার সংখ্যা ৬৬ হাজার ১৯জন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইকরামুল হাসান জানান,আমরা ইতিমধ্যে ভোটগ্রহন সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে বিভিন্ন মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা মালামাল নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে অবস্থান করবেন।
এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ৪ টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি