সিলেটে অনলাইনে চোরাই ফোন কেনাবেচা, গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমতো হাঁকডাক করে চুরাই মোবাইল বিক্রি করত একটি চক্র।সিলেট জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলগুলো কম টাকায় কিনে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতেন তারা। আর এতে বিপদের মুখে পড়তে হতো জনসাধারণকে। এবার এ চক্রের মূল হোতা ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে পুরো বিভাগজুড়ে তাদের সিন্ডিকেট রয়েছে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের ৫ মাস পর এ চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জনকে জনকে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানাপুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বি.এম. আশরাফ উল্লাহ তাহের।

শনিবার (১২ জুন) সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারি মাসে সিলেটের কুচাই এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী এক আইনজীবীর টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সূত্র ধরে ভয়ঙ্কর এই চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার আমতৈল এলাকার চলকাপন গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী (২২), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার শাকপা টুকেরবাজার এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আইনুল হক (২০) ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জৈনপুর গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে বেলাল আহমদ (২২)।

এর মধ্যে আইয়ুব আলী এ চক্রের মূল হোতা। তবে আইয়ুবের একান্ত সহযোগী তার আপন বড় ভাই আব্দুস শহীদকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সিলেটে চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলো এই চক্র কম দামে ক্রয় করে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই মোবাইল ফোনগুলো বিক্রি করে। তবে বেশিদিন এক আইডি সক্রিয় রাখে না তারা। কিছু মোবাইল বিক্রির পর সেই আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে নতুন আরেকটি আইডি খুলে একই পদ্ধতিতে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করে তারা। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে ওই চক্র এ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

সিলেটের কুচাইয়ে গত জানুয়ারি মাসে আইনজীবীর মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম রোববার সন্ধ্যায় বলেন, আব্দুস শহিদ ও আইয়ুব আলী দীর্ঘ দিন ধরে সিলেটে চোরাই মোবাইল ফোন খুবই কম দামে ক্রয় করে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে সেগুলো বিক্রি করে। তবে এক আইডি দিয়ে নয়, কিছু মোবাইল বিক্রির পর ওই আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে নতুন আইডি খুলে আরও মোবাইল ফোন বিক্রি করে তারা। এভাবেই তারা তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়।

এ চক্রের অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি