মাধবপুরে ৫টি চা-বাগান আর্থিক সংকটে

মাধবপুর প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২০, ৫:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার লস্করপুর ভ্যালির ৫ টি চা-বাগান আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। গত বছরের দরপতন ও চলতি বছরে করোনার ভাইরাসের সংক্রমন এবং লকডাউনের কারনে ৩/৪ মাস নিলাম বন্ধ থাকায় এ ভ্যালির সুরমা, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, নয়াপাড়া ও বৈকন্ঠপুর চা-বাগান চরম সংকটে পড়েছে। নিলামে চা পাতা বিক্রি না হওয়ায় ৫ টি চা-বাগানের গুদামে প্রচুর চা পাতা পড়ে রয়েছে। বাগানগুলো ব্যাংক ঋণ ও দারদেনা করে শ্রমিকদের রেশন তলব ও বাগানের অন্যান্য ব্যায় চালাচ্ছে।
বাগান ব্যবস্থাপকরা জানান, এ বছর করোনা ভাইরাস ও লক ডাউনের কারণে বাগান বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। নয়াপাড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদি বলেন, এখন চা পাতা বিক্রি হচ্ছে না। গত ৩/৪ মাস লকডাউন থাকার কারণে দেশের অভ্যন্তরে চা স্টল বন্ধ থাকায় চায়ের চাহিদা কমে যায়। এ কারণে নিলামে ক্রেতারা চা কিনতে আগ্রহী হয়নি। প্রথম নিলাম থেকে নবম নিলাম পর্যন্ত চায়ের বিক্রি ছিল নামে মাত্র। ১ কেজি চা পাতা উৎপাদন করতে খরচ পরে ২০০ টাকার উপরে। কিন্তু নিলামে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

বৈকন্ঠপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক তছলিম উদ্দিন জানান, গত বছর অবৈধ পথে ভারত থেকে নি¤œ মানের চোরই চা পাতা আসার কারণে দেশীয় চা বিক্রি হয়নি। এ বছর করোনার কারনে দেশের অভ্যন্তরিন বাজারে চায়ের চাহিদা কমে গেছে। এখন প্রতিটি চা-বাগানে প্রচুর পরিমানে বিক্রয় উপযোগী চা পাতা গুদামে মজুদ রয়েছে।
সরকার দেশীয় চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহজ শর্তে ঋণ না দিলে বাগানগুলো অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অধিকাংশ চা-বাগান ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে চলছে। চা পাতা বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার ফলে সামনের মৌসুমে ব্যাংকগুলো চা-বাগানে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দিবে।

জগদীশপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক বিদ্যুৎ কুমার রায় জানান, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভারত থেকে চা পাতা আসার কারনে বাগানগুলো লোকসানের মধ্যে পড়েছে। এ বছর ও মহামারি করোনার কারনে বাগানে পুনরায় লোকসানের মধ্যে পড়বে।
সুরমা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক আবুল কাশেম জানান, সরকার যদি জরুরিভাবে চা শিল্পকে প্রণোদনা কিংবা সহজ শর্তে ঋণ না দেয় তাহলে পাট ও চামড়ার মত চা শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। চা-বাগান বন্ধ হয়ে গেলে দেশের ১৫৬টি চা-বাগানের কয়েক লাখ শ্রমিক পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি