সব
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের এক একছাত্রকে গালি দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও একই বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক। সে একই হলের ৪২১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা। তারা উভয়ই ছাত্রলীগ নেতা তারেকহালিমীর অনুসারী।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২২৪ নম্বর কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর ও প্রভোস্ট বরাবর এক অভিযোগপত্রে এসব উল্লেখ করেন ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে ২২৪ এ ঝামেলা শুনি। পরে মারধরের আওয়াজ পাই। ভিন্ন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্ষ হওয়ায় আমরা ওদিকে যাইনি। পরে দেখলাম মিজানকে মেরে আহত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগপত্র হতে জানা যায়, রাতে রাজনৈতিক গ্রুপ মিটিং ডাকে আজিজুল ইসলাম সীমান্ত। টিউশনে থাকায় গ্রুপমিটিং এ অংশ নিতে পারেন নি ভুক্তভোগী। এরপর সে নিজ কক্ষে ফিরলে সীমান্ত তাকে প্রথমে গালি দেন ও পরে ‘লাথি মেরে রুম থেকে বের করে দেব’- বলে বেধড়ক মারধর করেন সীমান্ত।
এ ঘটনার পর নিজের নিরাপত্তা ও বিবাদীর শাস্তি চেয়ে আহত শিক্ষার্থী শাহপরান হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম সীমান্তকে একাধিকবার ফোন দিলে বারবার ফোন রিসিভ করলেও কোনো ধরনের কথা না বলেই লাইন কেটে দেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগপত্র পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের বিষয় সেহেতু হল প্রভোস্টকে বলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি