অবশেষে বদলি করা হলো সিলেট পাসপোর্ট অফিসের পরিচালককে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১ বছর আগে

অবশেষে বদলি করা হলো সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলামকে। তাকে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়া স্বাক্ষরিত পরিপত্রে তাকে বদলি করা হয়। তবে তার স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন তা পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব এবং সেবা সহজীকরণে অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় হয়রানির নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়। ওই দিন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে দিনে অন্তত ১৬ লাখ টাকার ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও করেন তিনি।

সম্প্রতি পাসপোর্ট করতে যাওয়া এক নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ২০ নভেম্বর পরিচালক মাজহারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন ওই ভুক্তভোগী।

প্রসঙ্গত, সিলেট পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম এর আগে আরও তিনবার সিলেট পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১-১৯৯২ সালে নগরীর শেখঘাটস্থ সিলেট পাসপোর্ট অফিসে প্রথম কাজ করেন তিনি। পরে তিনি অন্যত্র বদলি হন। ২০১১ সালে নগরীর উপশহরে এমআরপি পাসপোর্ট চালু হলে তিনি আবার সিলেট আসেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তিন মাসের মধ্যে তাকে সিলেট থেকে বদলি করা হয়। পরে ২০১৭ সালে আবার সিলেটে বদলি হয়ে আসেন তিনি। সেবারও দুর্নীতির জন্য বেশিদিন টিকতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়। এরপর তিনি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চতুর্থবারের মতো সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি