সব
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীতে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বড়শি ফেলতেন শৌখিন মৎস্য শিকারি বাচ্চু মিয়া। কিন্তু এতদিনে একটি মাছও ধরতে পারেননি তিনি। তবে অবশেষে বড়শিতে সাড়ে ১৮ কেজির একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।
উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফেরিঘাটে কুশিয়ারা নদী থেকে পাওয়া সাড়ে ১৮ কেজির বোয়াল মাছটি জগন্নাথপুর মৎস্য আড়তে আনা হয়। এখানে সাড়ে ২৬ হাজার টাকায় মাছ বিক্রি করেন তিনি। এ সময় মাছটি এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
শৌখিন ওই মৎস্য শিকারি বাচ্চু মিয়া বলেন, আমি একজন দিনমজুর। কাজ না থাকলে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই গত ছয়মাস ধরে কুশিয়ারা নদীতে বড়শি বেয়ে আসছি। এই ছয় মাসে একটি মাছও বড়শিতে লাগেনি। আজ প্রতিদিনের মতো বড়শি নিয়ে কুশিয়া নদীতে বড়শি ফেলি। শেষমেশ এই মাছটি পেলাম। আমি খুবই খুশি।
মাছটি কেন বিক্রি করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শৌখিন শিকারি। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে বড়শি বেয়ে মাছটি শিকার করেছি। কিন্তু এত বড় মাছ খাওয়ারও তেমন কেউ নেই আমার। তাই বিক্রি করে দিয়েছি। যে টাকা পেয়েছি তাতে সংসারের অনেক দিনের খরচ জোগাতে পারব।
জগন্নাথপুর বাজারের শাপলা মৎস্য আড়তের মালিক মোতাহির আলী বলেন, সাড়ে ১৮ কেজির ওই বোয়াল মাছটি ২৬ হাজার ৫০০ টাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, শুনেছি বড় একটি মাছ কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি