জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর;
  • প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৮ মাস আগে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি হওয়ার পরও পুরনো ভবনেই দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। ফাটা দেয়াল আর পলেস্তরা উঠে যাওয়া পুরাতন ভবনটিতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। এতে যেকোন সবড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০০৮ সাল থেকে প্রসাশনিক সহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগের পুরনো ভবনেই চলছে।

জানা যায়, নতুন ভবনে রোগীদের সেবা দিলেও পুরাতন ভবনে রয়েছে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড। এই ভবনটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন জনসাধারন। তার পাশাপাশি কর্মচারীরাও রয়েছেন ঝুঁকির মধ্যে, তাদের কক্ষগুলোর দেয়ালেও বড় বড় ফাটল।

জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের চিকিৎসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা জনসাধারণ জানান, বিভিন্ন রোগ নিয়ে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হই। আমাদের মনের মধ্যে ভয় থাকে যে কোন সময় ভবনের ছাদ থেকে ইটের টুকরো আমাদের মাথায় পড়ে। আমাদের রোগতো কমবেই না আরো মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি। আমাদের স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দ্রুত সময়ে মধ্যে পুরতান ভবনটি ভেঙ্গে আরেকটি নতুন ভবন নিমার্ণ করে দেওয়া হউক।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো. সায়খুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আমাদের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের জন্য কয়েক বার নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শিশু ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপুর্ণ বলা হয়েছে। আমাদের আরেকটি সমস্যা হল ২০০৮ সালে নতুন ভবন হওয়ার পর পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নাই। উপর থেকে ২য় তলা ও নিচের তলায় পানি চলে আসে, আমাদের আইএমসিএ নামে একটি রুম রয়েছে পানি পড়ার কারণে তা ব্যবহার করা হয়না, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি