শ্রীমঙ্গলে করলা চাষ করে লাভবান কৃষক

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৪, ২:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৯ মাস আগে

শুধু লাভবান নয়, করলা চাষের মাধ্যমে বদলে গেছে একটি গ্রামের নাম। গ্রামটি এখন মানুষের কাছে ‘করলা গ্রাম’ নামে পরিচিত। মূলত গ্রামটির নাম ‘পাড়ের টং’।

সরেজমিনে দেখা যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আশিদ্রোন ইউনিয়নের পুরো গ্রামজুড়ে করলার মাঁচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এসব মাচার নিচে ঝুলছে করলা। কৃষকরা মাচা থেকে করলা সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ গ্রামের করলা পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সারা দেশে। গ্রামটির করলা সারাদেশে বেশ চাহিদাও রয়েছে।

এ গ্রামের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তাইতো প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন পাইকাররা। তারাও গ্রামটিকে ‘করলা গ্রাম’ নামেই ডাকেন। তারা এ গ্রাম থেকে করলা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।

করলা চাষি মুহিবুর রহমান বলেন, সিজন অনুযায়ী টিয়া সুপারের করলা চাষ করে আমরা সবাই লাভবান হয়েছি। বেকারদের কর্মসংস্থানের জায়গা হয়েছে। দেশের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।

করলা চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১০ বছর যাবত করলা চাষ করছি। লালতীরের টিয়া সুপার খুব ভালো জাতের করলা। এ করলা চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। কোনো ক্ষতি হয় না। আর এগুলোর ফসলও ভালো। করলার ওজন অনেক ভালো হয়। এবার টিয়া সুপার চাষ করেছি, ফল আসা শুরু হয়েছে। কিছু বিক্রি করেছি, আরও কিছু বিক্রি করা বাকি রয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে করলা চাষ করে লাভবান কৃষক

হবিগঞ্জের বাহুবল থেকে আসা পাইকার মো. মাসুক মিয়া বলেন, ঢাকা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি। গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো। বাজার দরও ভালো রয়েছে। রমজান হওয়াতে বর্তমানে দাম কিছুটা কম। রমজান ছাড়া ভালো দামেই বিক্রি হয় করলা। আশাকরি, আরো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো। লাল তীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, পাড়ের টং গ্রামটি মূলত কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। এ গ্রামটিতে কৃষকরা ১০ থেকে ১২ বছর যাবত লাল তীরের হাইব্রিড টিয়া এবং টিয়া সুপার করলা চাষ করছেন। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলন সংগ্রহ করা যায়। যার জন্য করলা চাষে অতি আগ্রহ এখানকার কৃষক। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এখানে ছুটে আসেন এবং বিভিন্ন আড়তদাররা এখানে এসে করলা সংগ্রহ করে সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, এ বছর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে করলা চাষ করা হয়েছে। এবার প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার মতো করলা বিক্রি করা যেতে পারে। করলা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনদিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌসুম এখন আরো দেড় দুইমাস বাকি রয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি