ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ সপ্তাহ আগে

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। একইসঙ্গে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতান। মৌলভীবাজার জুড়েই রয়েছে প্রকৃতির নানা নৈসর্গিক সৌন্দর্য। জেলায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক লেক আর শতাধিক পর্যটন স্পট এখন একেবারেই পর্যটক শূন্য। তবে ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে জেলার বিভিন্ন স্পটে অর্ধ লক্ষাধিক পর্যটক ঘুরতে আসবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই জেলাটিকে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেনি প্রকৃতি। চা বাগানের সবুজ গালিচা লাউয়াছড়ার প্রাণ-প্রকৃতি কিংবা হাওরের অথই জল এনিয়েই পযর্টন জেলা মৌলভীবাজার। একসময়ে পর্যটক মোখর এই জেলার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র দেখতে দর্শনাথীর নেই তেমন আনাগোনা। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতো জেলার অন্তত ১০০টির ও বেশী দর্শনীয় স্থান। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্ভলতা এবং দর্শনীয় পর্যটন স্থানগুলোকে ঢেলে না সাজানোর কারণে প্রকৃতির এমন মায়াভরা আঙিনা এখন পর্যটকশূন্য। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকেই কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। তবে এবারের ঈদে আবারও ঘুড়ে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটকদের জন্য মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রীমঙ্গল উঁচু-নিচু পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি।

জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরও আছে- কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, রাজকান্দি বন খাসিয়া পল্লী,হাম হাম জলপ্রপাত,কলাবন, বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, রাজনগর উপজেলার কমলা রাণীর দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি।

জেলায় প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও কটেজগুলো সাজানো-গোছানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। ঈদের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা কথা জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গলে পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক ।

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা এখানে আসবেন। তাদের সেবা দিতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথির জন্য রিসোর্টগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করছি এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসবেন।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রীনলিফ গেস্ট-হাউজ এর স্বত্বাধিকারী এসকে দাশ সুমন বলেন, পর্যটন স্থানগুলো নতুন করে সাজিয়ে না তুলা হলে এবং সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না করা হলে পর্যটকদের ভিমুখ করবে এই জেলা ভ্রমনে। এতে দেশি পর্যটকরা বিদেশ ভ্রমনে উৎসাহিত হবেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব হারাবেন বলে মনে করেন তিনি।

মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ঈদের বন্ধে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে স্পটগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। টুরিস্ট পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনা করবে; আর জেলা পুলিশও সজাগ থাকবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি