সব
সিলেটে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে শুক্রবার তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঘোষগাও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মর্তজা খানের ছেলে সুরমান খান, একই উপজেলার কাপন খালপাড় গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে জামাল খান, নিজ কুরুয়া গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দুর্লভপুর মনতরা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। সোহেল বর্তমানে ওসমানীনগরের নিজ কুরুয়ায় বসবাস করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা ভিকটিম তরুণীকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ওসমানীনগর থানাধীন চন্ডীত্তীয়র গ্রামের কালা চাঁদের তলার দক্ষিণ পাশে রুনি হাওড় নামক স্থানে খালি জমিনে নিয়ে যায়। সেখানে পালাক্রমে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় করে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে নামিয়ে দেয় তরুণীকে। এসময় ভিকটিমের ফোন ও ভ্যানেটি ব্যাগ এবং গাড়ি ভাড়ার জন্য ৬০ টাকা ফেরত দেয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেন ভিকটিম তরুণীর বোন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নামে পুলিশ। পরে দীর্ঘ তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত বৃহস্পতিবার প্রথমে ধর্ষক সুরমান খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া, জামাল খাঁন ও সাইফুর রহমান বাবুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি