সাত মাস পর ৭ জনের মৃত্যু

সিলেট ডায়রি ডেস্ক;
  • প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২১, ৯:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জন মারা গেছেন। এর আগে গত ১১ মার্চ ছয় জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসাবে সাত মাস পর করোনায় একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু দেখলো দেশ। সেই সঙ্গে মৃত্যুও নেমে এলো ১০-এর নিচে।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৭ হাজার ৬৫৪ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৪৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৩ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১৪ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন মোট ১৫ লাখ ২২ হাজার ৫৯১ জন। এই সময়ে রোগী শনাক্তের হার দুই দশমিক ৭৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

একদিনে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৩ হাজার ২০৪টি আর পরীক্ষা হয়েছে ২৩ হাজার ৩০২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৮৯ হাজার ১১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৮০৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাত জনের মধ্যে পুরুষ তিন জন আর নারী চার জন। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৭৩৩ জন আর নারী নয় হাজার ৯২১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া সাত জনের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন।

এদের মধ্যে ঢাকা আর চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন তিন জন করে আর রংপুর বিভাগের একজন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ছয় জন আর বেসরকারি হাসপাতালে একজন।

প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের পর থেকে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়তে থাকে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের মধ্যে জুলাই মাসে দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র ঘর ছাড়িয়ে যায়। গত আগস্ট মাসের দুই দিন ভাইরাসটিতে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। তবে কিছু দিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি