সব
সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারেও হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম। হরতালের সমর্থনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। তবে হরতাল ঢিলেঢালা হলেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মৌলভীবাজার থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস।
রোববার (২৮ মার্চ) সকালে শহরের জুগিডহর এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। তবে জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের প্রধান সড়কগুলো মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ। টহল দিচ্ছে র্যাব।
মৌলভীবাজার পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাস, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পশ্চিম বাজারের কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া কর্মজীবী মানুষ অফিস বা কাজের জন্য বের হওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
খেলাফত মজলিসের নেতা আবদুর রহমান সুহেল বলেন, মানুষ স্বেচ্ছায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গাড়ি বের করছে না। সবাই হরতালের সমর্থনে রয়েছে।
এদিকে শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে শহরের দেওয়ানী মসজিদের সামনে থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কোর্ট রোড হয়ে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী বলেন, মৌলভীবাজারের নেতারা অনুরোধ করলেও আমরা তা রাখতে পরব না। কারণ, এটা আমাদের ইমানি দায়িত্ব সারা দেশের সঙ্গে আমাদের মিল করে থাকতে হবে। আমরাও মাঠ ছাড়ব না, আমরা মাঠে থাকব। আমরা কারও সঙ্গে সংঘর্ষ করতে আসব না। সংঘর্ষ করতে চাই না। মৌলভীবাজার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা, রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা এবং ধর্ম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা আজ পর্যন্ত মৌলভীবাজারে ধর্মে ধর্মে কোনো সংঘাত হয় নাই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কুলাউড়ায় কিছু লোক জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেখানে পুলিশ পরে অবস্থা নেয়। জেলায় ৪৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ ও থানাগুলো তো আছেই। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলার আন্তবাস যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি