সব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস জানায়, যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বৃহস্পতিবার গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
ডিকসনকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব।”
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশ এবং দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে নেমে আসার বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় এই দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে।”
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান ইহসানুল করিম।
তিনি জানান, শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যের দূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহও দেখিয়েছে দেশটি।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন। বলেন, “রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।”
নতুন শিশুর জন্মের কারণে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য এটা বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রবার্ট ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে তার দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব ভুগছে।
সব সময় যে কোনো যুদ্ধের বিপক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি