গোয়াইনঘাটে বিশাল ব্যবধানে দুই ইউনিয়নে নৌকার জয়

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১১:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে

এই প্রথম ইলেকট্রনিক ইভিএম পদ্ধতিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ ধাপে দুই ইউপিতে ৫ নং পূর্ব আলীরগাঁও,এবং ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ৩১ জানুয়ারী সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের চাইতে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে কেউ কেউ লাঠি ভর দিয়ে কেউ কাঁধে ভর করে আবার কাউকে কোলে করে নিয়ে এসে ভোট দিতে দেখা গেছে।তবে ইভিএমের মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতো ভোট হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আঙুলের ছাপ না মিলায় অনেক বয়স্কদের সমস্যা পোহাতে হয়েছে। তবে কোন সেন্টারেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ভোটারদের ভোট গ্রহণের কোন গাফলতি প্রলক্ষিত হয়নি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে সেই চেষ্টা তারা সর্বসময় অব্যাহত রেখেছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইকরামুল হাসান এর ফলাফল ঘোষণার ভিত্তিতে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া হেলাল নৌকা প্রতীক ও ৫ নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা মার্কার নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে বিজয় লাভ করেছন।

উপজেলার ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৩৬৮, মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১০৯৪৯(৭৬.২০%) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া হেলাল ৪৬১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কার আব্দুস শুকুর পেয়েছেন ২৩৫২ ভোট। ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৬৩১২ কাষ্ট হয়েছে ১২৪০০(৭৬.২২%) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম ৫০৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস মার্কায় সাংবাদিক মনজুর আহমদ পেয়েছেন ২৬৫২ ভোট।

নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ছিলো সতর্ক অবস্থানে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রোববার থেকেই প্রতিটি কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে র‌্যাব ও আনসার সদস্যরাও। মাঠে ছিলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো সকল নির্বাচনী এলাকায়।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি