পুলিশের পেছানোর প্রস্তাব: একদিন আগেই ইজতেমা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে সিলেটে ১৭ নভেম্বর থেকে দুইদিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা। ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ইজতেমায় আপত্তি জানিয়েছিলো সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। ইজতেমা কয়েকদিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছিলো।

তবে আপত্তি ও অনুরোধ উপেক্ষা করে একদিন আগে থেকেই সিলেটে শুরু হয়ে গেছে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ইজতেমা। একদিন আগে শুরু হলেও ৬ ঘন্টা আগে শুক্রবার ভোরে ইজতেমা শেষ করতে সম্মত হয়েছেন তারা।

বুধবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পারাইরচকস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক শতাধিক মুসল্লি ও মুরব্বি ইসতেমা প্রাঙ্গণে জিকির আসকার করছেন।

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয় কমিটির সদস্য সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মাঠে বুধবার সকাল থেকেই জড়ো হন আয়োজকদের অনেকে। এই মাঠেই ফজর ও জোহরের নামাজ আদায় করেন তারা।

সিলেট মহানগর পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমার আয়োজন কয়েকদিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো। বিএনপির সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা থেকে এমন অনুরোধ করা হয়েছিলো।

১৯ নভেম্বর নগরের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে আপত্তি পুলিশের। তবে পুলিশের এমন আপত্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন আয়োজকরা। পুলিশের নির্দেশনা পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই তাদের অনেকে ইজতেমাস্থলে সমেবত হন।

আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির বরুণার পীর হিসেবে পরিচিত মুফতি মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুকও রাতে ইজতেমা মাঠে আসেন। পুলিশের আপত্তির কারণে বুধবার থেকেই ইজতেমা শুরুর ঘোষণা দেন তিনি। যা চলবে শনিবার পর্যন্ত।

জানা গেছে, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর দুদিনব্যাপী এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। তবে বুধবার থেকেই তা শুরু হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে বুধবার সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম ইজতেমা পেছানোর জন্য। কিন্তু তারা একদিন আগেই জিকির আসকার শুরু করেছেন। এ বিষয় নিয়ে আজ বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তাদের সাথে বৈঠক করেছি। আয়োজকরা জানিয়েছেন তারা শুক্রবার বাদ জুমআর পরিবর্তে শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ করবেন।

এ ব্যাপারে আয়োজক সংগঠনের আমির মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বলেন, আমরা সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছি। আলেম উলামারাও আসতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় ইজতেমা পেছানা সম্ভব নয়। তবে আমরা আইন মান্য করি। এখানে কেউ বিশৃঙ্খলা করবে না। এখান থেকে কেউ বিএনপির সমাবেশেও যাবে না। আমরা শুক্রবার ভোরে ইজতেমা শেষ করবো।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি