সব
সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে দিনরাত সমান তালে সিলেট নগরী থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গণসমাবেশে চার লাখ লোকসমাগম করতে চায় দলটি। প্রায় ১০ বছর পর শনিবার ( ১৯ নভেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণে সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে নেতাকর্মীরা ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড টানিয়েছেন। গণসমাবেশের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে দলের নেতাকর্মীদের। প্রতিদিন বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে লিফলেট বিতরণ, সভা-মিছিল করছেন তারা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ডাকে ২০১২ সালে টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছিল বিএনপি। তখন কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটলেও এবার চার লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশাবাদী নেতাকর্মীরা।
নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার বাসাবাড়িতে বিএনপির তরফ থেকে গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলার শীর্ষ নেতারা। এবারের সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফলে সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। তাদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস কাজ করছে। সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তবে তিনি অভিযোগ করেন, কোনও কোনও জায়গা প্রচারণা চালাতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়েও হয়রানি করছে।
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছে। তবুও আমাদের প্রচার-প্রচারণা থামেনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি