সব
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার প্রায় জায়গা ঘুরে যতগুলো আম গাছ দেখা গেছে, প্রায় সবগুলো এখন মুকুলে ভরপুর। বসতবাড়ি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তার পাশে প্রচুর আম গাছ দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে বসন্তের আগেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে মাঘের শেষেই প্রতিটি গাছে পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটবে।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে দুই মাস পরপর ঋতু পাল্টে যায়। এর সঙ্গে পাল্টে যায় বাংলার আবহাওয়া ও প্রকৃতি। এমন করেই ঋতুরাজ হিসেবে পরিচিত বসন্তকাল হানা দিয়েছে আমাদের মাঝে। এর প্রধান লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে গাছে গাছে নতুন পাতা। তারই সঙ্গে প্রতিটি আম গাছ মুকুলে ভরা। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে শুষ্ক আবহাওয়ায় যত দূর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার। সঙ্গে আছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। এখনো আমের মুকুল বিনষ্টের মতো তেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। তাই গাছে গাছে মুকুলের অধিক সমাহারে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় আম চাষ করা হয়। এবার আবহাওয়ার কারণে আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে। ভালোভাবে পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে। তিনি আরও বলেন- জৈন্তাপুর উপজেলা বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের জন্য উপযুক্ত নয় এবং কেউ বানিজ্যিক ভাবে আম বাগান বা আমের চাষ করেনি। বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে আগ্রহীদের উপজেলা কৃষি অফিস সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি