সব
সিলেটে ভাষার মাসকে বরণ করে নিলেন সাংস্কৃতিকর্মীরা। বর্ণমালার মিছিল আর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে বরণ করতে মিছিলে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। হাতে লাল-সবুজের পতাকা আর ‘অ, আ, ক, খ’ বর্ণমালা এবং লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে অংশ নেন শিশুরাও।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় নগরের চাঁদনীঘাট এলাকার সারদা হল প্রাঙ্গন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বর্ণমালা মিছিল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার গিয়ে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্টান শেষ হয়।
মিছিলে এসময় তারা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন দেশাত্ববোধক গান গেয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। শহীদ মিনারে গিয়ে মিছিল শেষে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণমালার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য শামসুল বাসিত শেরো, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, পরিচালক অর্ধেন্দু দাশ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদসহ সাংস্কৃতিকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
ভাষার মাসে এমন কর্মসূচি সম্পর্কে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, আমরা প্রতিবছরই সম্মিলিত নাট্য পরিষদ থেকে ভাষার মাস বরণে এই আয়োজন করে থাকি। নতুন প্রজন্মকে মধ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানানো ও এর চেতনা ছড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন করে থাকি।
বর্ণমালার মিছিল নিয়ে আয়োজকরা বলেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট বিগত ৪০ বছর ধরে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভাষার মাসকে বরণ করতে বর্ণমালার মিছিলটি তাদের নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি। যা প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ভাষা আন্দোলনের আদর্শ ও চেতনায় তরুণ ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নাট্য পরিষদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি