সব
দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর, তাই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, দেশে হাসপাতাল আছে কিন্ত পরিচালনার লোকবল নাই। গ্রামে একজন চিকিৎসক বা তার পরিবারকে থাকার মতো নাগরিক সুবিধা দেওয়া নিশ্চিত করা যায় না। ফলে তারা গ্রামে সেবা দিতে চান না।
শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। এর আগে সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বলা হয় যে, আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ, আসলে তা নয়। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের প্রচুর চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে হয়। সেখানে ডলার সংকট আছে। এছাড়া আগের সরকারের করা ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যে ট্যাক্স-ভ্যাট কমানোর কারণে ব্যালেন্স করতে গিয়ে কিছু পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তবে ঔষধে নতুন আরোপিত শুল্ক কর কমানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া দেশের হাসপাতালগুলোতে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা ও ব্যবহার নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচনের আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সব সংস্কার বর্তমান সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। যতটুকু সম্ভব তার পুরো চেষ্টা থাকবে। তবে জনগণ অধিক সংস্কার চাইলে নির্বাচনের সময় আরো বিলম্বিত হতে পারে, সেটা জুন পর্যন্ত যেতে পারে। এর পর সুপারিশ থাকবে যারা আসবেন তারা সেটা করবেন।
সরকার ঔষধে আরোপিত শুল্ক কর সামান্য হলেও কমাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও পরিদর্শন শেষে রেড ক্রিসেন্ট রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি