‘নীল নদ’ মায়াবী ঝরনার হাতছানি

মিঠু দাস জয়, সিলেট;
  • প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৪, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ সপ্তাহ আগে

বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা সিলেট। সিলেটের নাম শুনলেই পাহাড়, টিলাবেষ্টিত চা-বাগান, সঙ্গে সাদা পাথর ও জাফলংয়ে স্বচ্ছ পানি চোখে ভেসে ওঠে পর্যটকদের। এ ছাড়া রাতারগুলের প্রকৃতি, জাফলংয়ে মায়াবী ঝরনা, আর নীল পানির নদ লালাখাল তো রয়েছেই। জাফলং, সাদা পাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, চা-বাগান, বিভিন্ন পাহাড়, ঝরনা স্পটে বছরের সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বর্ষা মৌসুমেই স্বরূপে ফিরে আসে। মেলে ধরে নিজেদের সৌন্দর্য। এ ছাড়া শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) মাজারেও পর্যটকের ভিড় জমে।

রমজান শুরুর পর থেকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যটক। একরকম বেকার সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের জন্য রংতুলিতে সাজানো হচ্ছে হোটেল-রিসোর্ট-দোকানপাট। ঈদ ঘিরে অগ্রিম বুকিং হচ্ছে হোটেল-রিসোর্টগুলো। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার ঈদে ব্যবসা হবে অনেক।

সিলেট নগর ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন হোটেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। এ ছাড়া রিসোর্টগুলোও প্রায় অর্ধেক বুকিং করে রাখা হয়েছে। হোটেল রিসোর্টও আগাম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। সিলেট নগরীর প্রথম সারির হোটেল ও শহরতলীর রিসোর্টগুলো ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা ঘুরতে এসে যাতে হয়রানি বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন, এজন্য নেওয়া হয়েছে নজরদারির ব্যবস্থা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা পুলিশ এরই মধ্যে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র ও জনসমাগম কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে। এসব কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হবে। এ ছাড়া সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশ নিযুক্ত থাকবে।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সিলেটে এসে পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে।

সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও সিজিএসের সভাপতি শান্ত দেব বলেন, পর্যটকদের পর্যাপ্ত বুকিং হচ্ছে। আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা কেমন আসবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু বৈরী পরিবেশ, পর্যটকদের পানিতে নামার আগে ট্যুরিস্ট পুলিশের নির্দেশ মানতে হবে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ কালবেলাকে বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে এরই মধ্যে আলাপ হয়েছে, তারা পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, শুধু পর্যটন স্পটেই নয়, বিমান পথ, রেলস্টেশন, বাসস্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসন তদারকি করবে। কেউ সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাফলংয়ের ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন বলেন, রমজান আসার পর থেকে ব্যবসায় ভাটা। সারা বছর এ সময়ের অপেক্ষায় থাকি আমরা। আশা করি, ব্যবসা ভালো হবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি