সব
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বগাইয়া হাওর ছারাপার খালের উপর হেলে পরা ৪ টি খুটি ভেঙ্গে যাওয়া সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের ভাগ্য যেন আটকে আছে ভেঙ্গে যাওয়া ৪টি খুটিহীন একটি সেতুতে। হেলে যাওয়া ও ৪টি ভেঙ্গে যাওয়া খুটিহীন এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন যাতায়ত করে থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। অথচ সেতু পূন নির্মাণ হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য।
ইউনিয়নের বগাইয়া হাওর ছরারপার খালের উপর প্রায় ৩০বছর পূর্বে এনজিও সংস্থা কনসার্ন ও এলাকাবাসী সহযোগিতায় নির্মিত এই সেতু দিয়ে ইউনিয়নের বগাইয়া,লিডারবস্তি,মুসলিমপাড়া,বগাইয়া,দমদমা,তুরুং,পাহাড়তুলি,ভীতরগুল,ঝারিখালকান্দি,ছরারপার,আসামপাড়া ১০ গ্রামের মানুষজনসহ পার্শবর্তী উপজেলার কোম্পানিগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ ও যাতায়ত করে থাকে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী ছরারপার খালের উপর সেতুটি পূণ নির্মাণ করা। এ জন্য তারা সরকারের বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,৪টি খুটি ভেঙ্গে পরে জরাজির্ণ ৪টি খুঁটির উপর বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। সেতুটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চালাচল করতে হয় এক লাইনে। যার কারণে উভয় পাশে হরহামেশা একটি সিএনজি পার হতে গেলেই উপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় দূর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠা স্কুল কিন্ডার গার্টেন এর কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসাসহ চার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এখানে একটি সেতু নির্মানের জন্য স্থানীয়রা দাবী জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে এনজিও সংস্থা কনসার্ণ ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য এই সেতুটি তৈরী হয়েছে ।স্থানীয়রা আরো বলেন এই সেতু দিয়ে পার হয়ে বাজার হাটে উপজেলা ও সিলেট শহরে যাওয়া আসা করেন।কুপার বাজার থেকে সেতুটি পর্যন্ত সেতু থেকে বগাইয়া দক্ষিণ পাড়া ঝারিখাল কান্দি পর্যন্ত ৩ কি মি এলজিইডি রাস্তা দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় ঘর্ত হয়ে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে ও চলাচলে চরম ভোগান্তি বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে ১নং রুস্তমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, বগাইয়া হাওর ছড়ার পারের সেতুটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু।বর্তমানে উপজেলার সেতুর লিষ্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আছে তাছাড়া মন্ত্রী মহোদয়ের নলেজে দেওয়া আছে এবং তিনি বলেছেন এই সেতুটি জরুরি দেওয়া হবে।এই সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ যদি ভেঙ্গে পরে পশ্চিম এলাকাসহ কোম্পানিগঞ্জে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব।১০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কনসার্নের তৈরী সেতুটি। তিনি আরো বলেন ছরারপার রাস্তার মাথায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ এখানের সেতুটি পূন নির্মান হলে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হতে সময় লাগবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বগাইয়া হাওর ছরারপার নামক স্থানে সেতু নির্মান সময়ের দাবী। ইতিমধ্যে সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনায় করে উপর মহলকে অবহিত করা হয়েছে।নতুন প্রকল্প আসতেছে এর ভিতরে এই সেতুর লিষ্ট দিয়েছি।প্রকল্প অনুমোদন হলে আগামীতে হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি