সব
প্রথমে সুন্দরি তরুণিদের ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠাতেন তিনি। এরপর রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করলেই পাঠাতেন একটি মেসেঞ্জারে লিঙ্ক পাঠাতেন। ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক্ড করে ওই একাউন্ট থেকে নগ্ন ভিডিও এবং ছবি আপলোড করার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিতেন হাজার হাজার টাকা।
এরকম এক ভয়ঙ্কর হ্যাকার মোশারফ হোসেন আকিল (২০)-কে ঢাকার ডেমরা থেকে গ্রেফতার করেছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি রাজধানীর ডেমরা থানার স্টাফকোর্য়াটার এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) নগরের শিবগঞ্জস্থ মহানগর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর-প্রশাসন ও ডিবি) তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বয়সি নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাকড এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করতেন।
তোফায়েল আহমদ আরও জানান, প্রথমে মোশারফ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড করতেন। এরপর সেই আইডির ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে হ্যাকডকৃত অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে দিবে বলে টাকা নিতেন। এভাবে সিলেটের এক তরুণীসহ বেশ কয়েকজনকে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন হ্যাকার গ্রুপের এই সদস্য। তাকে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে হাতে গ্রেফতার হলে তার কাছে প্রতারণার এমন তথ্য পায় পুলিশ।
গত সোমবার রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকা থেকে মোশারফ হোসেন আকিল (২০) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগ জানায়, নগরের আগপাড়ার মৌসুমী-৬৮ এলাকার রামপ্রসাদ ঘোষ (৫০) নামের এক ব্যক্তি ও সিলেটের এক মেয়েসহ বিভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে ফেসরুক হ্যাকড করে টাকা দাবি করে গ্রেফতারকৃত মোশারফ। পরে কয়েক ধাপে তাদের কাছে থেকে ওই যুবক ৩ হাজার, ২ হাজার ও দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
দীর্ঘ নয় মাস তাদের সঙ্গে ওই যুবক প্রচারণার আশ্রয় নিয়ে কথা চালালে পরে ভোক্তভোগিরা থানায় অভিযোগ করলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিবি-সিটি এন্ড সিসি) শাহারিয়ার আলমের নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আকিলকে গ্রেফতার করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিবি-সিটি এন্ড সিসি) শাহারিয়ার আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি সিলেট মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি