সব
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। শনিবার বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে এ ঘোষনা দেন তিনি।
আরিফের এ ঘোষনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
আর মর্মাহত হয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
শনিবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাতকারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘তার এই সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত। এখনো আরো তিন দিন বাকি আছে, আমি আশা করি তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন। দলকে বুঝিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি নির্বাচনে আসবেন।’
আনোয়ারুজ্জামান আরো বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনে আসলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। তিনি বিগত ১০ বছর সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে অনেক ভাল কাজ করেছেন। সিলেটের মানুষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক এটাই আমি চাই। সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ নাই, উনার এই বক্তব্য আসলে ঠিক না।’
তবে, আনোয়ারুজ্জামানের এ বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আরিফের সমর্থক ভোটাররা। একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, আরিফ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এ সরকারের অধিনে আর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না। আনোয়ারুজ্জামানের বক্তব্য রাজনৈতিক হঠকারিতা। তিনি মূলত হাফ ছেড়ে বেঁচে গেলেন। নগরবাসীই মর্মাহত। বিনা ভোটে আরেকটি নির্বাচন দেখতে হবে।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ইভিএম এর মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি