সব
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের পাতারগাও অংশে ভাংঙ্গা থাকায় চলাচলের জন্য বাঁশের চাটাই নির্মাণ করে দিয়েছে ইজারাদার। এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে ফায়দা নিতে চায় একটি সরকার বিরোধী চক্ররী মহল। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে তৎপর রয়েছে।
কিন্তু এই ভাংঙ্গা অংশটুকু মেরামত করার উদ্যোগ বা কোনো কথাই বলছে না বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী ও চলাচলকারী মানুষজন। অথছ এই সড়ক দিয়ে উপজেলার দু লক্ষাধিক লোকজন চলাচল করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,২০১৭ সালের বন্যায় সড়কের পাতারগাঁও নামক স্থান পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর ২০১৮ সাল থেকেই প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লোকজনকে ফেরী পারাপারে ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও দায়িত্বশীলদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
২০২২ সালে আজিজুল ইসলাম তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেয়। তিনি জানান,পানি বেশি থাকলে হুসনারঘাট থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পাড়াপাড় হতে হয়। আর পানি কমে গেলে হুসনারঘাটের সামনে থেকে আবার বর্তমানে এখন যেখানে নদী পাড়াপাড়ে হয় সেখান থেকে পাড়াপাড় হতে হয়। এসময় দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নেয় খেয়া পারাপারের নৌকার মাঝিরা। গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বাঁশের ছাটাই তৈরি করে দেয়া হয় মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচলের জন্য। কিন্তু একটি ট্রাক এসে বাঁশের চাটাই দিয়ে যেতে চাইলে ভেঙে যায়। এটি আবারও মেরামত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান,একমাস হল ভাঙ্গা অংশে বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচলের জন্য সুবিধা করে দেয়া হয়। না হলে ত চলাচল করা কঠিন ছিল। দুদিন আগে বাঁশে চাটাই ভেঙে দেয় একটি ছোট ট্রাক পার হতে গিয়ে। এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ তাই গুরুত্ব সহকারে মেরামত করা খুবেই প্রয়োজন যাতে করে সারা বছর চলাচল করা যায়। একটি কুচক্রী মহল বাস্তবতা না দেখে মনগড়া নানা কথা বলছে। ভাঙা আর গর্তে মাটি আর বাঁশের ছাটাই না দিলে চলাচল করা যাবে না।
তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন,৩০অক্টোবর পর্যন্ত খাস কালেকশনের মেয়াদ হলেও খাস কালেকশনের পেতে ২মাস দেড়ি হওয়ায় ও জনগনের চলাচলের স্বার্থে পানি ও গর্ত থাকায় সাবেক ইউএনও ২মাস বাড়িয়ে ৩০ডিসেম্বর পর্যন্ত খাস কালেকশনের মেয়াদ দেন। গত মাসে বাঁশের চাটাই দেয়া হয় ঐ গর্তে। এর পূর্বে নৌকা দিয়ে পারাপার করা হয় মানুষ ও যানবাহনকে।
এ বিষয়ে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি উপজেলা প্রশাসন প্রতি বছর ইজারা দিয়ে থাকে। এই সড়কটি খুবেই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি জনস্বার্থে দ্রুত মেরামত করা খুবেই প্রয়োজন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা জানান,জনদূর্ভোগ লাগবে ঐ এলাকা সরজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি