সব
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের বৌলাই নদীতে যাত্রীবাহী ইঞ্জিন চালিত নৌ-ডুবিতে ২জন শিশু ও দুজন নারীসহ ৪ জনের নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ জন।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে মধ্যনগর থেকে আসার পথে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মদনাকান্দি ও হেরারকান্দির মধ্যবর্তী বৌলাই নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের তাপন চক্রবর্তীর স্ত্রী বিউটি চক্রবর্তী (৪০), নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাতনি গ্রামের নিরদ সরকারের স্ত্রী কল্পনা রানী সরকার (৫০), হাতনি গ্রামের নিরেন সরকারের মেয়ে জয়িতা সরকার (৬), নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের মেয়ে গঙ্গাঁ রানী সরকার (৮)। অপর এক নিহত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আহত শিশু সৌরভ সরকারকে (৬) উদ্ধার করে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপকতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার মধ্যনগর উপজেলা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাটিতে ৭০ জন যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে জামালগঞ্জ উদ্দেশ্যে রওনা দেয় যাত্রীরা। পথিমধ্যে বৌলাই নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে
পুলিশ লাশ উদ্ধারের কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার জানান, পাশের মধ্যনগর উপজেলা সদরে শনিবার হাটবার ছিল। ওখানে বাজার সওদা করে ট্রলারে করে ফিরছিলেন ৫০-৬০ জন যাত্রী। ট্রলারে মালামালও বোঝাই ছিল। ট্রলারটি মদনাকান্দি-দুর্গাপুরের কাছাকাছি নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে ডুবে যায়। এ সময় অন্যান্য যাত্রীরা পাড়ে ওঠলেও দুই নারী ও তিন শিশু ডুবে মারা যায়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসেন বলেন, নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ খান বলেন, মধ্যনগর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাডুবে ৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা ও ২ জন শিশু।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি