সব
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের কুর্শিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নূরুল হক (৩০) পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার স্ত্রী রেশমা আক্তারের (২২) পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
রেশমা আক্তারে অভিযোগ, স্বামীর কথামতো বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় পাইপ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রেশমা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী নূরুল হকসহ চারজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কুর্শিবাড়ি গ্রামের নূরুল হকের সঙ্গে দুই বছর আগে পাশের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের টেপিরকোনা গ্রামের রেশমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে নূরুল হক তার স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। প্রায়ই টাকা এনেও দিত রেশমা।
তারা আরও জানান, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যবসার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আনতে চাপ সৃষ্টি করে। এতে তিনি রাজি না হলে রেশমাকে মারধর করেন নূরুল হক। একপর্যায়ে পাইপ দিয়ে স্ত্রীর পা ভেঙে দেন। পরে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে প্রতিবেশী এক নারীর সহায়তায় ধর্মপাশা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন রেশমা।
রেশমা আক্তার বলেন, আমার বাবা দিনমজুর। বাবার কাছ থেকে টাকা না আনলে স্বামী মারধর করে। মাঝে মধ্যে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিছি। এবার ব্যবসা করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিতে বলছিল। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একপর্যায়ে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে মেরে আমার পা ভেঙে ফেলেছে। রেশমার মা মমিনা খাতুন বলেন, মেয়েরে জামাই নূরুল হক উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের। বিয়ের আগে আমরা বিষয়টি জানতে পারিনি। তাকে টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ১৫/২০ দিন আমাদের বাড়িতে রেখে টাকা দিয়ে জামাইর বাড়িতে পাঠাই। এসব নিয়ে কয়েকবার শালিস বৈঠক বসেছিল। এরপরও আমার মেয়েকে বার বার মারধর করে। এসব আর মানতে পারছি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ ঘোষ কালবেলাকে বলেন, পাইপ দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রেশমার স্বামী নূরুল হকসহ আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তদন্ত করে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি