সব
হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলবাসী। মাঝে কিছুদিন তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এতে পথচারীদের গা ভিজে যাচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সকালে কুয়াশার কারণে যানবাহন তুলনামূলক ধীরগতিতে চলাচল করছে। যখন হিমেল বাতাস বয়ে যায় তখন মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও যেন কাবু হয়ে পড়ে। এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও বেলা সাড়ে ১০টার কিছু পরে সূর্য উঠেছে। এর আগে সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ বিকেল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি হাওরপাড় ও চা বাগান এলাকাসহ শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছেন।
সদর উপজেলার এলাকার শাহানুর রহমান বলেন, কৃষক মানুষ, মাঠে কাজ না করলে ফসলের ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু হাত-পা তো আর কাজ করছে না। শীতে বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
আতাউর রহমান বলেন ‘সন্ধ্যার পর থেকেই ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা। খুব জোরে বাতাস বইছে। আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। কত দিনে শীত যাবে এই অপেক্ষা করছি সবাই। শীত চলে গেলেই আমরা বাঁচি।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, শুত্রুবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলিত ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটাই এভাবে তাপমাত্রা ওঠানামার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি