সব
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের বদলপুর ইউনিয়নের কৈয়ারঢালা (স্লুইসগেইট) সংলগ্ন সড়কে ভেঙে হাওরে প্রবল বেগে প্রবেশ করছে নদীর পানি। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হতে শুরু করেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় নদীর পানির প্রবল স্রোতে সড়কের এই অংশটি ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, ২০২২ সালের জুনের বন্যায় সর্ব প্রথম উপজেলার এই সড়কটি ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এই ভাঙনের ফলে নদীর পানিতে আজমিরীগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলার হাওর ও নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ও বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, নিমজ্জিত ৮২১ হেক্টর ফসলি জমি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়ন ও কাকাইলছেও ইউনিয়নে বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি এবং টানা বর্ষণে নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলগুলো।
বদলপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা সোহেল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নদীর পানির তীব্র তোড়ে সড়কটি ভেঙে যায়। এরপর ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওর ও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
কাকাইছেও ইউনিয়নের বাসিন্দা তারা মিয়া জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে পানি কমে যায়। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর উজানের পানিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন আবার নতুন করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং বানিয়াচংয়ের দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরইমধ্যে জেলার এসব উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, উপজেলায় আমাদের ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি