সব
আচ্ছা,স্বাধীনতা শব্দটা কি পুরুষবাচক শব্দ?
যদি সেটা না হয় তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও কেন নারী স্বাধীনতা জাগ্রত হলো না?
কেন আজ প্রতিটা মেয়ের চোখে ভয়ের আর্তনাদ?
কেন মেয়েরা কালো চাদরে নিজেদের ঢেকে করছে নিস্তব্ধ প্রতিবাদ?
দেয়ালে পিঠ থেকে গেছে তাদের।
তাদের মনে জায়গা করেছে নিরাপত্তাহীনতার আর্তনাদ…
নারী তুমি আজ রাস্তায় নও নিরাপদ।
মা-বাবা,ভাই,কিংবা স্বামীর সাথেও তুমি নও নিরাপদ,
হিংস্র হয়ে উঠেছে এই জনপদ।
আজ নারী করে না প্রতিবাদ।
কেন করবে?
যে দেশে প্রধানমন্ত্রী একজন নারী,স্পিকার নারী,এমনকি শিক্ষামন্ত্রীও নারী।
সে দেশেও নারীদের নেই নিরাপত্তা। তারা আজ অসহায়,
নিপীড়িত, নির্যাতিত।
নারী তুমি আজ ধর্ষণের শিকার। তবুও দোষ তোমার।
তোমার পোশাকের।
আচ্ছা কেউ বলতে পারেন,ছোট চার বছরের শিশুকে দেখে কেন ধর্ষণের তীব্র বাসনা জাগে পুরুষজাতির?
নিরুত্তরে নিরুত্তরে চাপা পড়ে যায় একের পরে এক নারীর আত্নচিৎকার।
ভাগীদার কেউ হয় না এই অত্যাচার আর লজ্জার।
নারী তুমি প্রতিবাদী হও,
নিরবতা ভুলে নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের জবাব দেও।
তুলে নেও সেই ধর্ষকের চোখ,
যেই চোখ তোমায় ভোগের পণ্য ভেবে পেয়েছে সুখ।
নারী তুমি জাগো, হও প্রতিবাদী রংমশাল।
নারী তুমিই স্বাধীনতা,
সব অপমানের জাল ছিঁড়ে ফেরাও তোমার আত্মসম্মান।
হও সেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বাস্তব উদাহরণ,
যারা তোমায় বাধ্য করেছিলো করতে আত্নহরণ।
যোগ্য জবাব হও নারী।
নারী তুমি দেবী,
তুমি এই সমাজে বেঁচে থাকার সমান অধিকারী।
তন্বী দেব– শিক্ষার্থী, এমসি কলেজ
প্রিয় পাঠক, আপনিও সিলেটডায়রি’র অংশ হয়ে উঠুন। স্বাস্থ্য, শিল্প ,সাহিত্য, ক্যারিয়ার, পরামর্শ সহ যেকোন বিষয় নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন [email protected]এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরী লিঃ