এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে সুজন আহমেদকে প্রধান আসামি এবং সুজনের বন্ধু মুসলিম মিয়াকে সহযোগী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়া (আসামপাড়া)র বাসিন্দা আবু বক্কর মিয়ার ছেলে সুজন আহমেদ প্রায় বছর খানেক আগে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন।
তবে বিয়ের কিছু দিন পর সুজন ফেসবুকের মাধ্যমে এক কিশোরীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের থেকে তাদের সম্পর্ক প্রণয়ের দিকে গড়ায়। এদিকে সুজনের প্রথম স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় লম্পট সুজন প্রেমিকা স্বর্নালীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে মোবাইলে যোগাযোগ করে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টমটম ভাড়া করে সুজন শিবপাশা বাজারে তার বন্ধু মুসলিম মিয়ার কাছে যায়। পরে মুসলিম মিয়াকে সাথে নিয়ে কিশোরী স্বর্নালী আক্তারের বাড়িতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী স্বর্নালীকে ধর্ষণ করে সুজন।
বিষয়টি স্থানীয়রা আঁচ করতে পেরে হাতে-নাতে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে বিকেল ৫ টার দিকে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফ আলী সুজনকে আটক করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। আর ধর্ষক সুজনকে আটক করা হয়েছে।