২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবে সিসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২১, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

প্রতিবছরের মতো এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। একইসাথে ২৭টি ওয়ার্ডের ৩০টি স্থানে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে তারা। আর পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাস্তবায়নে কাজ করবে ৯টি মনিটরিং কমিটি।

এসব কমিটির তত্ত্বাবধানে বর্জ্য অপসারণের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। ফলে নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানি দেয়া হলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণসহ জীবাণুনাশক স্প্রে করে দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা হানিফুর রহমান।

তিনি বলেন, সিলেট নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে পশু কুরবানির জন্য আমরা ৩০ টি স্থান নির্ধারণ করেছি। এসব স্থানে পশু কুরবানি হবে। একই সাথে আমরা এসব স্থানকে মোট ৩ টি অঞ্চলে ভাগ করে মনিটরিং সেলের ৯ টি টিমের জন্য ৩ টি আলাদা আলাদা কাজ ভাগ করেছি। এসব জোনে বাস্তবায়নকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। এছাড়া একটি কমিটি আবর্জনার স্থানগুলো খুঁজে বের করবে। একটি কমিটি নির্ধারিত স্থানগুলো থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ করবে আবার একটি কমিটি সার্বিক মনিটরিং করবে।

সিসিকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপালনে আমি থাকবো। আর কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে সিসিকের বিভিন্ন স্থরের ৯০ টি গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে। মাঠে কাজ করবেন প্রায় ২ হাজার কর্মী।

তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করে কাজ শুরু করলেও ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারি। এবার যেহেতু করোনা মহামারী, সে ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। বর্জ্য অপসারণের জন্য আলাদা ভাবে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে যারা ঈদের দিন সকাল থেকে পরের দিন পর্যন্ত কাজ করবে।

বর্জ্য অপসারণ কাজে প্রায় শতাধিক পরিবহণ ব্যবহার করা হবে জানিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, বর্জ্যগুলো দ্রুত নির্ধারিত স্থানে নেয়ার জন্য প্রায় শতাধিক গাড়ি প্রস্তুত রেখেছি এবং বর্জ্য অপসারণের সাথে সাথে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দুর্গন্ধমুক্ত করা হবে সকল জায়গা।

এদিকে সিসিকের বর্জ্য অপসারণের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে পশু নির্ধারিত স্থানে কুরবানি দিবেন। বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে জমা রাখবেন। যত্রতত্র এসব পশুর ময়লা ফেলবেন না। কারণ সিটির ২৭ টি ওয়ার্ডের জন্য মোট ৩০ টি স্থান আছে। এসব স্থানে পশু কুরবানি হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য সুবিধা হবে। তাই নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানি করার আহ্বান জানান তিনি।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি