সিলেট সাড়ে ৩ ঘণ্টার পর মুক্ত ব্যাংকার ফারহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২১, ১০:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেটের উপশহরে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। এমন বাস্তবতায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে তার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানান এসএমপি’র শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।

ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, গৃহকর্মী মেয়েটি একেক সময় একেক কথা বলছে। আমরা বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখেছি মেয়েটির অভিযোগ সত্য নয় এবং তার শরীরে মারধরের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় নি। শারীরিকভাবে নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলেনি। তার বক্তব্য হলো, সে এখানে থাকবে না। সে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চায়। তবে মাঝে মাঝে তাকে বকাঝকা করা হয়- এ কথাটি বলেছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিলো। ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় তাকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে সিলেটের বাসায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরী পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, সকালে জৈন্তাপুরে একটি অভিযানে যাই। গতকাল থেকে মেয়েটি বলছিল বাড়িতে যাবে। যার মাধ্যমে মেয়েটিকে আনা হয়েছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে আজকে রাতে বা কাল সকালের মধ্যে আসার কথা। তবে এর ভেতরেই এমন ঘটনার কথা শুনে আমি বাসায় এসেছি।

তিনি আরো বলেন, সকালে আমি ও আমার স্ত্রী এক সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাই। তাহলে আমরা কিভাবে তাকে মারধর করলাম? বাসায় শুধু আমার সন্তানরা ছিলো। বাইরের লোকজন কিভাবে তা জানলো? আর বাথরুমের দরজা তো ভিতর থেকে লাগানো ছিলো।

তবে এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের বাসার বাথরুমে কিশোরী গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্যাতনের সময় তার শরীরে মরিচের গুড়োও ছিটিয়ে দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে বাথরুমে তালাবদ্ধ রুনা আক্তারের চিৎকার ও কান্না শুনে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানার একদল পুলিশ এমরান হোসেনের বাসায় গিয়ে বাথরুম থেকে রুনা আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহপরাণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি