লকডাউনের খবরে বাজার সাধাইয়ে ব্যস্ত শহর

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১, ৭:০২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

আসন্ন রমজান ও কঠোর লকডাউন উপলক্ষে কেনাকাটা করতে সিলেটের কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোতে চলছে মানুষের বাজার সাধাই। এ যেনো জিনিসপত্র ফুরিয়ে যাবার আগের কিনে নেবার পালা। যদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা?

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সিলেটসহ সারা দেশে চলছে দ্বিতীয় দফা লকডাউন। এসময় মার্কেট ও দোকানপাট খোলার সরকারি অনুমতি থাকলেও বার বার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেয়া হলেও কেউ মানছে না এসব। প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানাও করা হচ্ছে অনেক দোকানে। কিন্তু কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না চরম অসতর্ক ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) নগরীর বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেট, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক ও আম্বরখানা ঘুরে দেখা গেছে, কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কোনো কোনো দোকানে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। ভিড় করে যেন ঈদের কেনাকাটা করছেন পুরুষ-মহিলা-শিশুসহ সব বয়েসি মানুষ। তাদের বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। শারীরিক দূরত্বের তো বালাই নেই। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সিলেটে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও তাতে যেন এদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

কাপড় কিনতে আসা নগরীর উপশহরের মারুফ তালুকদার জানালেন, কী হবে এত ভয় করে? লকডাউনের কারণে গত বছর ঈদেও সুবিধামতো কেনাকাটা করতে পারিনি। এবারও যদি কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসলে তবে ঠিকমতো ঈদে কেনাকাটা করতে পারবো না। তাই এখনই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।

হাসান মার্কেটের সুমন নামের এক কাপড়ব্যবসায়ী বলেন- কী করবো ভাই, করোনার জ্বালা থেকে পেটের জ্বালা বেশি। অবশ্য ক্রেতাদের বার বার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছি আমরা। কেউ মানে, কেউ মানে না।

দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় এবং বিধি অমান্য করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, ‘বিভাগের মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজার রয়েছে করোনার ভয়াবহ ঝুঁকিতে। এই দুই জেলায় আক্রান্ত বাড়ার কারণ হচ্ছে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে লোকজন আসা।

তিনি বলেন, কয়েকদিন থেকে সিলেট জেলায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর প্রধান কারণ হলো- জনগণের অসেচতনতা, বাজার-হাট ও দেকানপাট-মার্কেটে জনসমাগম এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা ইত্যাদি। এখনই সিলেটের মানুষকে সচেতন না হলে এর চড়া জন্য মূল্য দিতে হবে। ’

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি