মৌলভীবাজারে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও ধর্ষণের স্বীকারোক্তি, নীরব প্রশাসন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারে বাম সংগঠনের সাথে জড়িত কয়েজন সদস্য প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসিয়ে মাদক সেবন ও মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন কাজ করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অথচ এখনও নীর রয়েছে প্রশাসন। প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে এমন ধর্ষণ ও মাদক সেবনের স্বীকারোক্তিকে অপরাধ হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল।

গত ২৫ আগস্ট সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান নিজের ফেইসবুক পেইকে সামাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর সভাপতি সজিবুল ইসলাম তুষার এর বিরুদ্ধে মধ্যপ অবস্থায় এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি তার নিজ বাসায় গাঁজা পার্টির আয়োজনে আসা এক মেয়েকে তুষার মাদকাসক্ত করে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে এবং এই কাজে মারজিয়া প্রভা নামের এক নারীবাদী এবং রায়হান নামের এক বাম নেতা সহযোগীতা করেছেন বলে তিনি স্টেটাসে উল্লেখ করেছেন।

এর একদিন পর অভিযুক্ত তুষার তার ফেইসবুক আইডিতে স্টেটাসে ওই দিনে গাঁজা পার্টি বসেছে এবং তারা মধ্যপ অবস্থায় সম্মতির ভিত্তিতে যৌন কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি ওই মেয়ের আগ্রহে যৌন কাজে লিপ্ত হয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করেন।

এঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রফ্রন্টের সব ধরণের পদ থেকে তুষারকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ছাত্রফ্রন্টের প্যাডে উল্লেখ করা হয় তুষারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

এঘটনার পর মৌলভীবাজারের বাম সংগঠনগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। অনেকের মতে বাম সংগঠনগুলো প্রগতিশীলতার আড়ালে মাদক সেবন ও নারী ভোগের একটি প্লাটফর্ম তৈরী করেছেন। অনুসন্ধ্যানেও এর সত্যতা মিলেছে। অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানের বাসায় প্রায়শই মদ, গাজা সেবন পার্টির পাশাপাশি মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন কাজে সম্প্রিক্ত রাখতো। এর প্রমাণ পাওয়া যায় সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাহমুদের সাথে একাধিক নারীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য। আর তার সাথে এসব পার্টিতে যোগ দিতেন মৌলভীবাজারের বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন নেতা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, “মাহমুদের বাসায় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কয়েকজন সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক ও নারীবাদি কয়েকজন মেয়ের আসাযাওয়া ছিল নিয়মিত। তারা নিয়মিত সেই বাসায় রাত কাটিয়ে মাদক সেবন ও যৌন কাজে লিপ্ত থাকতেন। আমি নিজেও কয়েকটা পার্টিতে ছিলাম”।

সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান ও সজিবুল ইসলাম তুষারের মদ গাঁজা ও নারী ধর্ষণের এমন সত্যতার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পরেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন। এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তারা বলছেন কোন বড় শক্তি তাদের অপকর্মের বিষয়টি আড়াল করতে চাইছে।

এবিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, এবিষয়ে আমি আগে কিছু শুনিনি, আপনি ওসির সাথে কথা বলতে পারেন।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি