মাহবুব রুমনের মুক্তিযুদ্ধের গল্প ‌’কারিগর’

মাহবুবুর রহমান রুমন;
  • প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

“কারিগর”

বড়ভাই রশিদ বেরিয়ে যাওয়ার আগে সিদ্দিককে বললো-
-কাম না থাকলে বাজারে হুদাহুদি দেরি হরিস না।
-দেরী তো আফনেরাই করুইন
-আমার এট্টু দেরি ওইবোই।খবর-টবর হুনি।মুরুব্বিরার কাছে দেশের কথা হুনি।
-এইতা আমার হুইন্না লাভ নাই।আফনেরা হুনতে তাহোইন।।

এ কথা বলে সিদ্দিক চলে গেল।দেশ নিয়ে সে এতো চিন্তা করেনা।তার কাজ সারাদিন ঘোরাফেরা,বিকাল হওয়ার আগেই বাজারের দিকে রওনা হওয়া।যাবার সময় কার তেলটা,কার নুনটা লাগবে সব সদাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে যায়।প্রায়ই তারা গ্রামে যাত্রাপালা আনার কতা বলতো কিন্তু টাকার অভাবে কোনবারই আনতে পারেনি।তবে রাতে বিশেষ করে চাঁদনী রাতে নারকেল ভাংগার খেলাটি তারা প্রায়ই খেলতো।এইসব করে সিদ্দিক মাঝেমধ্যেই রাত করে বাড়ি ফেরা শুরু করে।কিন্তু রশিদের চিন্তাভাবনা অন্যরকম।সে সংসার নিয়ে ভাবে।দেশ নিয়েও খুব চিন্তিত।দেশে নাকি পাকিস্তানিরা আক্রমণ করছে।বাড়িঘর জ্বালায়া পুড়ায়া দিতাসে।আস্তে আস্তে এইদকেও নাকি আইবো।হেইদিন মেম্বার ভাই কানে কানে কইলো মাঝের পাড়ার দুই ছেলে নাকি মুক্তিবাহিনিতে যোগ দিতে বডার ফার অইসে।তারও খুব ইচ্ছা যাবে।মাকে প্রায়ই বোঝায়;কিন্তু রাজী হচ্ছেনা।
সিদ্দিকটার অবশ্য এসব নিয়ে মাথাব্যাথা নেই।এটা নিয়ে মাও বেশ নিশ্চিন্ত। ও যে একগুয়ে;একবার বলে ফেললে আর আটকানো যাবেনা।আর এর জন্য মায়ের মনটাও কেন জানি একটু বেশি পক্ষপাতী। ছোটছেলে বলেই কিনা কে জানে।

মা ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ কোরান তেলাওয়াত করেন তারপর উঠোন ঝাট দেন।রশিদ গোয়াল থেকে গরু নিয়ে বের হয়ে গেল।মা কাচারি ঘরের সামনে এসে থামলেন।সিদ্দিককে ডাকছেন।কাচারি ঘরের দরজা প্রায়ই খোলা রেখে ঘুমিয়ে পরে ও।এজন্য বকাবকিও করলেন।কিন্তু সিদ্দিকের কোন সাড়া নেই।ভেতরে গিয়ে দেখেন বিছানা খালি।হয়তো রাতে কোথাও যাত্রাগান দেখতে গিয়ে এখনো ফেরেনি।বাঁইদার ক্ষেতের কোনায় বাধা নৌকাটিও নেই।নিশ্চয় বদটার কাজ।মা নিজের কাজে মনযোগ দেন।আজ ওর বাজানকে আর আটকানেন না।একটু শিক্ষা হওয়া দরকার।দুপুরেও সিদ্দকের খবর নেই।বিকেল নাগাদ খবর হলো ফরিদও নেই।আর ফজল তো তার সাথেই ছিল।রশিদ সন্দেহ প্রকাশ করলো- এরা মনে ওয় মুক্তিবাহিনিতে গেছেগা।

এ কথা শুনার পর শুরু হয় মায়ের কান্না।তিনিও এখন মুক্তিবাহিনী সম্বন্ধে জানেন।রশিদ প্রায়ই বলত।তিনি বুঝলেন তার এই ছেলে আর ফিরবে না।তখন বৃষ্টির সময়।উঠোনে কাঁদা জমে আছে।কাঁদাময় সারা উঠানে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদেন।রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে কান্না।ফজলের বাবার তেমন ভাবান্তর হলোনা।তাকে বেশ নির্ভারই মনে হচ্ছে।তার ধারনা ছেলে নিজের গতি নিজেই করে নিয়েছে।বহুদিনের পরিবার বিয়োগে হয়তো তার কর্মে মনযোগ ঘটবে।কিন্তু ফরিদের বাবার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা।মেয়ের বাবাকে তিনি কি জবাব দেবেন।তিনি মানি মানুষ।শুধু দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন আর আকাশের দিকে তাকান মাঝে মাঝে।

সিদ্দিকদের সেকশনে নতুন একজনের সাথে ওদের তিনজনেরই বেশ খাতির হয়েছে।তিনি হাদিস ভাই।মাঝে মধ্যে শুধু হাদিস বলেও ডাকে তারা।সে কিছু মনে করেনা।তার একটা মেয়ে আছে।রাতে ফিরতে দেরী হলে সে বাবার কাধে উঠে ছোট্ট হাতে বাবার চুল টেনে শাস্তি দিতো।হাদিস শুধু হাসতো।তৃপ্তির হাসি।ওরি সবাই বর্ডার পার হয়ে তুরাতে ট্রেনিং নেয়।ফজল ট্রেনিং নিতে পারেনি।সে মাঝে মাঝে তার ঢোল বাজিয়ে গান শুনাতো।ক্লান্ত শ্রান্ত ছেলোদের একটু বিনোদন দেয়ার চেষ্টামাত্র।তার গানের আসরে অনেকেই আসতো।বাঘা সিদ্দিক ভাই,জোহা ভাইও এসে থাকবেন।
অল্প সময়ে যুদ্ধ শেখাটাও অনেক কষ্টের।তার উপর খাওয়া দাওয়ার কষ্ট তো আছেই।বাড়ির কথা মনে পড়ে।কত আরামে ছিল।এসব মনে পড়লে কুত্তার বাচ্চাদের প্রতি আরো রাগ হয়।আমরা কি ওদের খাই না পরি?আমাদের শাষন করতে আসে?আমাদের শ্রমের টাকায় অস্ত্র কিনে আমাদেরই মারবি?সিদ্দিক এসব শুনেছে তাদের কমান্ডারের মুখে।লোকটার কথা শুনলে গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়।মনে হয় এখনি ওদের গুলি করে ঝাঝড়া করে দেয়।

ব্যাপক আয়োজন করে দুপুরের খাবার খাওয়া হলো।বিশাল এক পুকুরে নিজেরাই জাল ফেলে কৈ মাছ ধরেছে।বাড়ির গিন্নি নিজেই রাধলেন।নাম হালেমা।ওরা বলে হালেমা খালা।অমায়িক ব্যবহার।একা মানুষ।নিজেই পরিবেশন করলেন খুব যত্ন করে।গরম ভাতের সাথে কৈ মাছের ঝোল।মনে হলো বেহেশতের কোন খাবার খেল তারা।ক্ষুধার কারনেই মনে হয় স্বাদের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।একরাত একদিন না খাওয়া।বর্ডার থেকে ভিতরে একটা অপারেশন ছিল।পুরোটাই হাটা পথ।অপারেশন সফল হয়েছে কিন্তু ওদের ক্যাম্পে খবর পৌছাতে কতক্ষণ? তাই রাতের মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয় খুজতে হবে।রাতের অচেনা পথ।হাদিস ভাই আবার এখানে ওখানে হোচট খাচ্ছিলো।তার মাথায় শুধু তাড়াতাড়ি যুদ্ধ শেষ করার চিন্তা।কখন বাড়ি ফিরবে!মেয়েকে কোলে নিবে,মেয়ে তার চুল টেনে ধরবে;বহুদিন বাড়ি নাফেরার শাস্তি!আর বউয়ের কথাতো আলাদা।তারা সেকশন মারফত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে এখানেই আরো কিছুদিন থাকার নির্দেশ পেলো।আরো বড় আক্রমনের প্রয়জনীয় ব্যাবস্তা নিতে হবে।আর এ বাড়িতে উঠার পর তারা মোটামুটি বড়লোক।বিশেষ করে গেরিলাদের মধ্যে তারা এখন অভিজাত।এ বাড়ির গাছে এতো বড় বড় ডাব যে এরা আগে এমন ডাবই দেখেনি।সবই উন্মুক্ত।এরি মধ্যে একদিন কোথা থেকে ফরিদের বাবা এসে হাজির হন।সাথে নতুন লুংগি আর গামছা ছেলের জন্য।তাকে দেখে কারো মুখে কথা ফুটেনা।বহুদিন পর আপনজন দেখে ওরা নির্বাক হয়ে যায়।পরে শুরু হয় গনকান্না।বিধ্বংসী গেরিলাদের চোখ ফেটে পানি আসছে।আটকানোর চেষ্টা নেই।হালেমা খালাও কাদলেন।তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেন।ফরিদের বাবার বিদায়ের সময় তারা কিছুদুর এগিয়ে দেয়।যাওয়ার আগে তিনি তেমন কিছু বলতে পারেননি।শুধু বলেন – বাজান,বালা থাইক্কো।ফিরে আসার পথে মাতবরের সাথে দেখা হয়।তাকে দেখেই ফরিদের খুব রাগ হয়।টুটি চেপে ধরতে ইচ্ছে করে।যেমন বদখত চেহারা তেমনি তার কাজ।সব সময়ই গোয়েন্দাগিরি করে বেড়ায়।জানতে চাইলে সিদ্দিক বলে তারা এখানে বেড়াতে এসেছে।

সেদিন বিকালেই ওরা বিদায় নেয়।তারা বুঝে যায় মাতবর কোন অঘটন ঘটাতে পারে।ওর কথাতেই বুঝা যায় সে ওদের চিনতে পেরেছে।আসার সময় হালেমা খালা খুব করে বলেন যেন সময় পেলেই তারা আসে এবং এ বাড়ি যেন নিজের বাড়ি মনে করে।দুনিয়াতে কত বিচিত্র মানুষ যে রয়েছে।
ঐ রাতেই সিদ্দিকের না পেয়ে হালেমা খালাকে গুলি করে উঠানে ফেলে রাখে।সারা বাড়িতে আগুন দেয়। গ্রামের দু-তিনজন ধরাধরি করে নারকেল গাছের নিচে তাকে চিরতরে শুইয়ে দেয়।এর তিনদিন পর রাতের বেলায় সিদ্দিক,ফরিদরা তাদের পুরো সেকশন এসে খালার কবরের পাশে কিছুক্ষণ নিরবে দাড়িয়ে থাকে।মোনাজাত শেষ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় নেয়।দ্রুতই কিছু করতে হবে।

মায়ের মনটাবেশ ভালো।ফরিদের বাবা এসে জানাল ছেলে ভাল আছে।শুনে মায়ের মনটা কিছুক্ষনের জন্য হলেও শান্ত হয়।তিনি প্রতিটি বিষয় বার বার প্রশ্ন করে উত্তরের মধ্যে ছেলের অস্তিত্ব খোজার চেষ্টা করেন।তিনি জানতে চান
– ভাইসাব,ছেয়াডার শইলডা কি হুহায়া গেসে?
-না ভাবিসাব,এরা রাজার হালে আছে।

দুপুরে মিলিটারিরা মূল সড়ক ধরে যাওয়ার সময় সিদ্দিকের খোজ করছিল।গ্রামে অল্প কজন মুরুব্বি ছাড়া তেমন কেউ ছিলনা।তারা সবাই না চেনার ভান করে।মিলিটারিরা দু বাড়ি পরে মেজর গনির বাড়িতে আগুন দেয়।গনি এ পাড়ারই ছেলে।পাকিস্তান আর্মি তে ছিল বড় পদে।পালিয়ে এসে মুক্তিবাহিনিতে যোগ দেয়।তার বাড়িই আগুনে পুড়ছে।গাছপালার উপর দিয়ে সে আগুন আকাশ ছুঁল।মা চেয়ে দেখেন আর আল্লার নাম নেন।পরদিন ফজর নামাজ শেষে মা তসবী নিয়ে বসেন।মুরগগুলো ডেকে যাচ্ছে।বাজান আরো দুজনের সহায়তায় প্রকান্ড এক বোয়াল মাছ নিয়ে আসেন।ব্যাঙ খেতে এসে বরশীতে ধরা পরেছে।পাকীরাও কি এক ধরনের বোয়াল না;যারা ধরা খাচ্ছে এদেশের ছেলেদের হাতে? রীতিমত প্রদর্শনী করে মাছ কাটা হলো।মাছের পেটে কব্জি পর্যন্ত এক্টা হাত পাওয়া গেল।আংগুলে লাল পাথরের একটা আংটি।লম্বা লম্বা আংগুল সিদ্দিকের আংগুলের মতোই।মার মনে পরে যুদ্ধে যাবার কিছুদিন আগে ঠিক এমন একটা আংটি কিনেছিল সিদ্দিক।মা যা বুঝার বুঝে নেন।শুরু হয় বিলাপ,গড়াগড়ি।এবার তিনি নি:স্ব।তিনি নিশ্চিত।

ছোট আকারের পাহাড়ি এলাকা।পূর্ববঙ্গের সীমানাধীন পাহাড়্গুলো তুলনা মুলক ছোট।সিদ্দিকদের দলটা রাঙাচড়া হয়ে ভবানিপুর পার হয়ে আরো অনেকটা ভিতরে ঢুকে।এবারের লক্ষ্য তালুকদার বাড়ি।সেখানে পাকিস্তানি হায়েনারা সাময়িক আস্তানা গেড়েছে।আজ দলটাও বেশ বড়।জারিয়ার মারফত ভাই, পূর্বধলার হেকিম ভাইও আছেন।এর মাঝেই গনির বাড়ির খবরও তারা পেয়েছিল।সব মিলিয়ে তাদের মাঝে অসম্ভব ক্রোধ বিরাজ করছে।তারা ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে যায়।বিড়ালের মত পা ফেলে এগোয়;যেন শব্দ না হয়।ওদের বুঝে উঠার আগেই অ্যাকশন শুরু করতে হবে।কাছাকাছি নিরাপদ অবস্থান থেকে তারা দেখলো এক পাক আর্মি রাইফেল কাধে সিগারেট ফুকছে।দেখেই ফরিদ উত্তেজিত হয়ে বলে – আইজ এরারে কুইট্টালবাম”।সিদ্দিক ওর ঠোট চেপে ধরে নিজের ত্রি-নট-ত্রি’টা তাক করে সিগারেট ফুকা হায়েনাটার প্রতি এবং ফায়ার করার সাথে সাথেই লুটিয়ে পড়লো।এটাকে কমান্ডিং ফায়ার ধরে সবাই এক যোগে গুলি শুরু করে।আজ হাদিসও খুব উত্তেজিত। ওদিক থেকেও পাল্টা গুলি শুরু হয়।কিন্তু অপ্রস্তুত থাকায় এবং দুই দিক থেকে আক্রমন করায় তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি।হাদিস অনেক সামনে চলে গিয়েছিল।একটা ফুলি এসে তার বুকে লাগে।সে লাফিয়ে উঠে নিচে পরে গেল।কিছুক্ষন ডাঙায় তোলা কৈ মাছের মত তড়পাতে তড়পাতে শান্ত হয়ে যায়।তাকে ধরার মত সময় সিদ্দিকের নেই।শুধু মনে মনে বললো -আর মাঝি ধলা ফিইরা যাইতাম না।আইজ এরার শেষ কি আমরার শেষ”।আক্রমন চললো তুমুল বেগে।ক্রমেই শত্রু কোনঠাসা হয়ে পরলো।আজকের অপারেশনও সফল।তাকুকদার বাড়িতে যে ক’জন মেহমান ছিল;তালুকদার সহ সবাই খতম।এদিকে হাদিস ও আরেকজন মহান যোদ্ধা শহীদ হলেন।সিদ্দিক দীর্ঘশ্বাস ফেলে।হাদিসের মেয়েটা কার চুল ধরে টানবে?

সিদ্দিক ফিরে এসেছে।মা উঠোনে বসা।পাড়ার ছেলে বুড়ো সকলেই পিছু পিছু বাড়ি আসে।অনেকেই অনেক কথা বলে।কে একজন বললো ফরিদের বাগদত্তা মেয়েটি কোন খোজ নেই।সবাই নানা কথা বলছে।যেন নতুন এক প্রান ফিরে পেয়েছে সবাই।কিন্তু একি?যে জননী তাকে দেখে সবচে খুশি হওয়ার কথা;তার মাঝেই কোন উচ্ছ্বাস নেই।সে ধীর পায়ে মায়ের দিকে এগিয়ে যায়।তার কাছে গিয়ে বসে।মায়ের চোখে কেমন যেন ঘা এর মত হয়ে গেছে।চোখের রং আরো সাদা হয়ে গেছে।মা হাতড়াতে হাতড়াতে সিদ্দিকের নাক,মুখ খুজেন।বিস্তর দাড়ি গোফের আড়ালে পরিচিত সন্তানের মুখাবয়ব খুজেন।তবে কি মা আর কোনদিন তাকে দেখতে পাবেন না?সিদ্দিক স্তব্ধ হয়ে যায়।হায় স্বাধীনতা!কি চমৎকার বিনিময়!
এই মা কি জানেন তার সিদ্দিকও স্বাধীনতার এক নিপুন কারিগর?
পুনশ্চ:গল্পের সিদ্দিক আমার বাবা সিদ্দিকুর রহমান।

লেখক : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান রুমন।

 

প্রিয় পাঠক, আপনিও সিলেটডায়রি’র অংশ হয়ে উঠুন। স্বাস্থ্য, শিল্প ,সাহিত্য, ক্যারিয়ার, পরামর্শ সহ যেকোন বিষয় নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন [email protected]এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি