সব
সিলেটে মারধরে বাবলু মিয়া (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত বাবলু মিয়া মহানগরের আখালিয়া এলাকার ধানুকাটারপাড় গ্রামের সিকন্দর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাবলুর মামা নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক যুবক কল করে জানান- সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তার ভাগ্নে। অজ্ঞাত এই যুবক ও তার সহযোগিরা বাবলুকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
খবর পেয়ে বাবলুর মামাসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে যান এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরদিন (বুধবার) বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালে বাবলু মারা যান।
বাবলুর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেন। তারা বলেন- যে বা যারা বাবলুকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তারা তাদের মোটরসাইকেল হাসপাতালের সামনে ফেলে পালিয়ে গেছেন। এছাড়াও বাবলুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার পর অজ্ঞাত যুবকদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি বাবলুর স্বজনরা কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেছেন। লাশ দাফনের পর থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান বাবলুর মামা নুরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান- নিহত বাবলুর পরিবার অভিযোগ করছেন এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তারা মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি জানান- ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আছরের নামাজের পরে লাশ দাফন করা হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি