ফেসবুকে কটূক্তি : শাল্লায় মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলা

শাল্লা প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২১, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লার একটি গ্রামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সকালে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেশ দাসের ছেলে ঝুমন দাসকে (২৫) আটক করে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার দিরাই উপজেলা সদরে হেফাজতে ইসলামের একটি সমাবেশ ছিল। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। ওই রাতে মামুনুল হককে নিয়ে শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন-এমন অভিযোগ তুলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরের দিন মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শাল্লার শ্বাসখাই বাজার থেকে ঝুমনকে আটক করে। ফেসবুক পোস্টের জের ধরে বুধবার সকাল ৯টার দিকে নোয়াগাঁওয়ের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই গ্রামে গিয়ে হামলা চালান।

এ সময় নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ওই গ্রামের লোকজন আগেই বাড়িঘর ছেড়ে পাশের গ্রাম ও হাওরে আশ্রয় নেন।

শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বলেন, আমরা নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে জেনেছি, হামলার জন্য লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। পরে অন্য লোকেরাই হামলা করতে বাধা দেন।

তারপরও ২০-২৫ জন যুবক গ্রামে ঢুকে ভাঙচুর করেছেন। আমরা পুরো এলাকার মানুষকে নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার অনুরোধ জানিয়েছি। এসব বৈঠকে এলাকার আলেম-ওলামারাও ছিলেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় নোয়াগাঁওয়ের আশপাশের গ্রামের মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে স্ট্যাটাস দানকারী ঝুমন দাস ওরফে আপনকে আটক করা হয়। তারপরও সকালে মামুনুল হকের সমর্থকরা ওই গ্রামে হামলা চালায়, ভাংচুর করে।

পুলিশ সুপার জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

দিরাই উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি দোষ করেন, তাহলে তাঁকে আইনের আওতায় আনাটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এভাবে হামলা–ভাঙচুর হেফাজতে ইসলাম সমর্থন করে না। এটি নিন্দনীয় কাজ। যারা হামলা–ভাঙচুর করেছেন তিনি তাদের শাস্তি দাবি করেন।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি