নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ ও তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ১২ জন শিক্ষক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তর কুমার দাসকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সদস্য হচ্ছেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছাদেক হোসেন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসি। এরপর তদন্ত কমিটি তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে কর্মরত কর্মচারী অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সুনাম উদ্দিন, ল্যাব সহকারী জ্যোতিষ রঞ্জন সরকার, নিম্নমান সহকারী বিন্দু ভূষন বৈদ্য, ও খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর নয়ন মনি সরকারের বিরুদ্ধে দায়িত্বের অবহেলা, আর্থিক অনিয়ম, প্রশাসনিক অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। একইভাবে কলেজ স্বাক্ষরিত অডিট কমিটির সদস্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সফর আলী, আহবায়ক ফজলে এলাহী মো. ফরহাদ, সদস্য মো. মিছবাহ উদ্দিন, শাহ্ ফুয়াদ ইমাম, মোজাম্মেল আলী সিকদার, মো. শাহীন মিয়া, মো. দুদু মিয়ার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ মিলেছে। বেতন মওকুফ কমিটির (অর্নাস) সদস্য আহবায়ক শাহ্ ফুয়াদ ইমাম, সদস্য সোজাম্মেল আলী সিকদার, মো. শাহীন মিয়া ও আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। বেতন মওকুফ কমিটির (ডিগ্রি পাস) আহবায়ক মো. হাবিবুর রহমান, অসীম কুমার রায়, ফজলে এলাহী মো. ফরাদ, মোহাম্মদ মোদাচ্ছির আলীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। বেতন মওকুফ কমিটির (দরিদ্র-মেধাবী ও করোনাকালীন) সদস্য আহবায়ক কৃপেশ চন্দ্র দেব, মো. রেজাউল আলম, রুপেশ চন্দ্র দাশ, মো. শাহীন মিয়া, দুদু মিয়ার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও আর্থিক অনিয়ম এবং প্রশাসনিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

এ ব্যাপার নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক অনিয়ম, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে সুপারিশসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি