নদীতে ভেসে আসছে ভারতীয় পণ্য

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি ;
  • প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তে স্থলপথের পাশাপাশি নদীপথেও আসছে ভারতীয় পণ্য। তবে সীমান্তের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর তৎপরতার কারণে চোরাকারবারীরা প্রায় সময় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে। সম্প্রতি তারা পানিপথে বিশেষ কৌশলে ভারতীয় পণ্য দেশে আনছে।

সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত ঘুরে দেখা যায়, স্থলপথের পাশাপাশি চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা নদীপথ ব্যবহার করে ভারত হতে নিয়ে আসছে নানা রকমের ভারতীয় পণ্য। করোনা মহামারিতে বিভিন্ন মোবাইল কোর্টের কারণে নিরাপদ রুট হিসেবে কৌশলে নদীপথ ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার যে সব নদীপথ চোরাকারবারীরা ব্যবহার করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- খাঁসি, খোয়াই, রাংপানি, ছাগল খাউরী, কলসী, নয়াগাং, কাটাগাং, বড় নয়াগাং ও সারী নদী।

এসব নদীর উৎসমূখ ভারত সীমান্তে থাকায় বর্ষার মৌসুমে চোরাকারবারীরা দিন-রাত ভারত হতে নদীপথে অভিনব কায়দায় সবজিসহ গাড়ির টায়ার, টিউব ও মাদক চালি বেঁধে ভাসিয়ে আনছে।

চোরাকারবারী দলের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জল কিংবা স্থল পথে পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের পর তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না ব্যবসায়ী কিংবা বহনকারীদেরকে।’

তারা আরও বলেন, ‘পণ্যের মালিকের সাথে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সংখ্যাক মনোনিত সোর্স রয়েছে। তাদের সাথে নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে পণ্য প্রবেশ করানো হয়। পণ্য খালাসে ভারত সীমান্ত অংশে প্রবেশেরকালে ঝুঁকি বেশি। যে কোন সময় বিএসএফ হানা দেয়। তখন জীবন বাজি রেখে পণ্য নিয়ে আসতে হয়। অনেক সময় পণ্য ফেলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে হয়।’

তারা বলেন, ‘বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন হতে আমাদের কয়েকটি গ্রুপ নদী পথে ভারত হতে সুপারী, সাতকরা, টমেটো, গাড়ির টায়ার, কসমেট্রিক্স সামগ্রী, ওষুধ, মেডিকেল সামগ্রী, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, নাছির বিড়ি ও মাদক নিয়ে আসি। বিভিন্ন সময় এসব পণ্য স্থলপথে আনা হয়। তবে স্থলপথের তুলনায় নদীপথ নিরাপদ।’

এব্যাপারে ১৯ বিজিবি’র এফএস রেজাউল করিম বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জৈন্তাপুর ক্যাম্পের সদস্যরা ওই সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে শতভাগ সফল হওয়া যাবে না। তবে নদীপথের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখব। সীমান্ত চোরাচালান মুক্ত রাখতে সচেতন মহলকে সহযোগিতা করতে হবে।’

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, চোরাচালান রোধে থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

 

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি