তারেকের সাথে আরিফের বৈঠক, সিগন্যাল লাল না সবুজ!

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ৭:১৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১ বছর আগে

সিলেট সিটি সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে সিসিকের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর এক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিগন্যাল লাল না সবুজ পেয়েছেন তা সময়ে বলে দিবেন বলে জানিয়েছেন আরিফ। একইসাথে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

লন্ডনের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেনর পার্ক এলাকার রয়েল রিজেন্সি সেন্টারে যুবদলের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেয়র আরিফ। সেসময় তিনি এমন কথা জানান উপস্থিতদের। এদিকে তার এমন বক্তব্যর দোটানায় পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। আর নগরবাসীরাও অপেক্ষায় রয়েছেন তার মুখ থেকে পরিষ্কার করে ‘হ্যাঁ অথবা না’ শব্দ শোনার।

আলোচনা সভায় বক্তব্যের শুরুতে অনুষ্ঠানে আসা সবাইকে সিলেট নগরবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। পরে দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেজন্য সিলেট সিটি নির্বাচনে আমিও প্রার্থী হচ্ছি না।’ তবে পরের কথাতেই ‘সিগন্যাল পেয়েছেন’ বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

মেয়র আরিফ বলেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমার নেতা তারেক জিয়ার কাছ থেকে সিগন্যাল পেয়েছি। তবে সেটা গ্রিন না রেড তা সময়ই বলে দেবে।’

তবে তার এমন বক্তব্যে নতুন কিছুর আভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, তাই বিএনপি থেকে হয়তো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না আরিফ। হতে পারে এটি দল থেকে পদত্যাগ করে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিগন্যাল’।

আবার অপর এক পক্ষ বলছেন, সিটি মেয়র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে তারেক রহমানের কাছ থেকে আরও বড় কিছুর সিগন্যাল পেয়েছেন আরিফ। সূত্র বলছে, বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে মেয়র আরিফ বিএনপির প্রার্থী হতে চান। সেক্ষেত্রে সিলেট ১ অথবা ৪ এর সিগন্যাল পেয়েছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সব কেন্দ্র মিলিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২ হাজার ৫৯৩ ভোট। আর বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৬ হাজার ৩৯৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ৬ হাজার ১৯৬ ভোট বেশি পেয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয় ২০০২ সালে। প্রথম নির্বাচন হয় চার দলীয় জোট সরকার আমলে। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি পৌরসভা থাকাকালে চেয়ারম্যান থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পরে ২০০৮ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বার বিজয়ী হন কামরান। তৃতীয় নির্বাচন হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এ নির্বাচনে কামরানের সঙ্গে মেয়র পদে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এতে আরিফুল হক পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ২৩০ ভোট।

সবশেষ ২০১৮ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন আসাদ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক জাকির হোসেন। এরপর বদর উদ্দিন কামরান মনোনয়ন পেলেও ওই নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেন আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে।

 

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি