সব
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল উভয় মহাসড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকার প্রধান। একই সময় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনও কেউ পেছনে টানতে পারবে না। কিন্তু আমরা যতই উন্নতি করি আর ভালো কাজ করি, একটা শ্রেণি আছে যারা বাংলাদেশের বদনাম করতে ব্যস্ত। তারা কী চায়? এ দেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক সেটা চায় না তারা। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের একটু কদর বাড়ে। সেজন্য তারা সবসময় উন্নয়নটা আর দেখে না। বরং তারা ধ্বংসই করতে চায়। এটাই বাস্তবতা। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সবশেষে সিলেট ও পটুয়াখালী প্রান্তে উপস্থিত উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়াও ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন- সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকু রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সাসেক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট ছয় লেনের কাজ আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে পারে। এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা)। এর বেশির ভাগ অর্থায়ন করবে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন ও দু’পাশে দু’টি সার্ভিস লেনসহ মোট ছয় লেন প্রকল্প।
আগামী মার্চের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন কাজ শেষ হবে। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্ল্যানিং কমিশনে যাবে। সেখানে অনুমোদনের পর জুলাই থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে। ২০৯ কিলোমিটার এ মহাসড়কে আটটি ফ্লাইওভার, ২২টি ওভারপাস, পাঁচটি রেলওভারপাস, ৬৯টি ব্রিজ, ১০টি আন্ডারপাস, তিনটি ইন্টারচেঞ্জ, ২৯টি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি