জকিগঞ্জে লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে অনিয়মের অভিযোগ

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০, ২:৪৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলাধীন লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অনিয়মও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে অভিভাবক,এলাকাবাসী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে অভিভাবক, এলাকাবাসীও সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের অনিয়মত্রান্ত্রিক বিষয়াদী নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর ধারাভাহিক ভাবে ভালো রেজাল্ট করে আসছে। কিন্তুু ঐতিহ্যবাহী লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রেজাল্ট করে আসছে।এতে যেমন এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে, তেমনই আমাদের ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো এবং দেশের সুনাগরিক হতে বঞ্চিতা হতে হচ্ছে। যার কারনে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যালয়ের খারাপ ফলাফলের জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং লজ্জিতও হই।

তাই অভিভাবকগন বিদ্যালয়ের খারাপ ফলাফলের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ বিধি অনুযায়ী নিয়োগ থাকলেও অধ্যক্ষ পদ ছাড়া প্রতিষ্ঠান চলে আসছিল।

তিঁনি সিলেট শহরে নিজস্ব অভিজাত বাসায় বসবাস করে একটি আন্তর্জাতিক মানের এনজিও সংস্থা সীমান্তিকের চেয়ারম্যান এর পদ গ্রহন পুর্বক সীমান্তিক সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকেন, যার কারনে প্রতিষ্ঠানে না এসে মাস পনের দিন পর এসে এক দিনেই হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর দিয়ে বেতন ভাতা ভোগ করতেন।

অভিভাবকগন আরও বলেন, অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ বিদ্যালয়ের প্রতিস্টাতাও গভর্নিং বডির একান্ত আত্মীয় হওয়ায় বেপরোয়া ভাবে অনিয়ম করে যাচ্ছেন।

অত্যান্ত দুঃখও পরিতাপের বিষয় গত ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিধি অনুযায়ী উনার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহন করলেও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে বিধি বহির্ভূত ভাবে ব্যক্তি স্বার্থে নিজের পছন্দের একজনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে পরোক্ষভাবে অধ্যক্ষের পদে বহাল আছেন।

অপরদিকে অভিভাবকও এলাকাবাসীর অগুচরে তিনির পছন্দের লোক দিয়ে মেয়াদকালীন সময়ে রাতের আঁধারে নিজের ইচ্ছায় এলাকাবাসী ও অভিভাকদের না জানিয়ে গোপনীয় ভাবে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি ঘঠন করে আসতেছেন।
উক্ত কমিটি উনার পছন্দের হওয়ায় মর্জি মতো কাজ করেতেন। এবং তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর হতে অধ্যবদি পর্যন্ত কুনো ধরনের হিসাব নিকাশ এলাকাবাসী তথা অভিভাবক সহ কাউকে কখনো দেন নাই।

একটা প্রতিষ্ঠানের ভালো ফলাফলের জন্য ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক মণ্ডলী, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।

দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়নি। কমিটি হতো রাতের আঁধারে নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে। যার ফলে কুনো জবাবদিহিতা দেয়ার প্রয়োজন হতোনা।

যেহেতু মাজেদ আহমদের কারণে বিদ্যালয়টি খারাপ ফালাফল করে আসছে আবার তিনি পরোক্ষভাবে বিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন এবং অহেতুক বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। তাই তাকে তার অবৈধ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং বিশেষ অডিট করে বিদ্যালয়ের ফলাফলের মানোন্নয়নের জন্য আগামী কমিটির সকল অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে যাতাযতভাবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অত্র ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবী জানান অভিভাবকবৃন্দ।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ বলেন, নির্ধারিত ছুটি ছাড়া প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এনজিও সংস্থার চেয়ারম্যান হলেও সেখান থেকে কুনো বেতন নেইনি। প্রশাসনের বিধি অনুযায়ী সকল অভিভাবকদেরকে কমিটি গঠনের তারিখ অবগতির মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়। বিদায়কালীন সময়ে ব্যাংক এবং ক্যাশে আট লক্ষ উনপঞ্চাশ হাজার একশত তের টাকা একচল্লিশ পয়সা তহবিলে রেখে যাই। ম্যনেজিং কমিটি আমাকে কলেজ সেকশনে অনারারি হিসেবে প্রতিষ্টানে রেখেছে।এবং আইনের পরিপন্থী কোনো রকম অনিয়ম করি নি।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মোবাইলে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি