গোলাপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের, আটক ১

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৯:০৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেটের গোলাপগঞ্জে গণপিটুনীতে নিহত ডাকাতের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী।

তিনি আরও জানান, ডাকাতির ঘটনায় ৩ টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ৩টি হচ্ছে- ডাকাতি, গণপিটুনী ও অস্ত্র উদ্ধার মামলা। এর মধ্যে ডাকাতি মামলার বাদি হয়েছেন গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের দুলাল সেন। অপর দুই মামলার বাদি হয়েছে পুলিশ।

ওসি জানান, দুলাল সেন (৪০) বাদি হয়ে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৪/৫জনকে অজ্ঞাত রেখে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা (নং-১৩) দায়ের করেন।

এর আগে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলকে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে ডাকাতদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে পাঁচজন আহত হন। এছাড়া ডাকাতদের মারধরে আহত হন আরো এক ব্যক্তি। এসময় স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়।

পরে নিহতের পরিচয়া পাওয়া যায়। নিহত যুবক গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগর ডেংরী গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে আরিফ আহমদ।

ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে আহতরা হলেন- ঢাকাদক্ষিণের পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মানোয়ার হোসেন (২৪), একই এলাকার আতিব আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০), বকু মিয়ার ছেলে আরমান আহমদ (৩০) ও মনন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ (২৭)। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন দত্তরাইল মিশ্রপাড়ার গৃহকর্তা জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেন (৪০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার ভোররাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা জ্ঞান সেন ও তার স্ত্রী শক্তি রাণী সেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এসময় বাঁধা দিলে ডাকাতরা জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেনকে মারধর করে আহত করে।

ডাকাতরা জ্ঞান সেনের বাড়ি থেকে ১ হাজার ডলার, নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির সিসি ক্যামেরাও নিয়ে যায় ডাকাতরা।

এদিকে, পালানোর সময় পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদের ইমাম বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে অবগত করেন। এসময় গ্রামের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে পাঁচজন আহত হন। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও লোকজন ডাকাত আরিফ আহমদকে ধরে গণধোলাই দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুন্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত সুহেল আহমদ (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। রোববার বিকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের লংপুর গ্রামে উপ পরিদর্শক আব্দুল আহাদের নেতৃত্ব অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সুহেল গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগর ডেংরী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, বাকি ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি