অবশেষে খালি হলো চৌহাট্টাস্থ স্ট্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১:০০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

চৌহাট্টায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড সরানো নিয়ে দুপুর থেকে চৌহাট্টা এলাকায় পরিবহণ শ্রমিক ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছিলো। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের এমএজি ওসমানি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে। একনলা বন্দুকসহ পরিবহণ শ্রমিকের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, এতো কিছুর পরে বর্তমানে শান্ত হয়েছে চৌহাট্টা এলাকা।

সংঘর্ষের পর পরই ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে চৌহাট্টা এলাকায়। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টা থেকে ট্রাফিক পুলিশ সংঘর্ষে ভাংচুরকৃত যানবাহন রেকার করা শুরু করে। রেকারকৃত যানবাহন পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চৌহাট্টা এলাকা খালি করা হয়। সরিয়ে নেয়া হয়েছে সব গাড়ি। সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছেন।

দুপুর আড়াইটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছে ফুটপাত নির্মাণের। ইটের গাথুনি দিয়ে নির্মাণ করছেন ফুটপাতের সীমানা। অবৈধভাবে রাখা মাইক্রো স্টান্ড সম্পূর্ণ খালি।

এদিকে, চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে গঠিত সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিভিন্ন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহণ শ্রমিকরা। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এসময় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

এছাড়াও নগরীর মেজরটিলা এলাকায় পরিবহণ শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হয় সিলেট-তামাবিল সড়কে। সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন, হঠাৎ এ রাস্তা অবরোধের ফলে।

উল্লেখ্য, সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ফুটপাত দখল করে গড়ে তুলা হয় অবৈধ স্ট্যান্ড। সিসিক ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হলেও পরিবহন শ্রমিক নেতারা স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে অনিহা। এমনকি সিসিকের কাছে স্ট্যান্ডের জন্য তারা জায়গা দেয়ার দাবি জানালে সিসিক এতে সম্মতি দেয়। জায়গাও খোঁজতে শুরু করে সিসিক। শ্রমিকনেতারা আশ্বাস দেন সিসিকের কাজ শুরু হলেই তারা স্ট্যান্ড ছাড়বেন। সিসিক তাদের কথামত কাজ শুরু করে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিসিক যখন কাজ শুরু করে তখন কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক যানবাহন সরিয়ে নিলেও এক শ্রমিক নেতার নির্দেশে তারা পূনরায় স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখেন। প্রশাসন ও সিসিকের কাউন্সিলর তাদেরকে বুঝিয়েও স্ট্যান্ড ছাড়াতে পারেননি। একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকরা হামলা চালায়। এসময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও সিসিকের কয়েকজন কর্মী আহতহন। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে পরিবহণ শ্রমিক ফরসল আহমদ ফরহাদ গুলি করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ তাকে হাতেনাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে একনলা একটি বন্দুক উদ্ধার করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি