সব
মৌলভীবাজার পল্লী বিদি্যুৎ সমিতি (পবিস) কুলাউড়া গ্রীড লাইনে ত্রুটির কারণে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহিন ছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ও কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার একাংশ। ফলে পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন ১ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হটাৎ করে পবিস গ্রীড লাইন বন্ধ হয়ে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বিদ্যুৎ গ্রাহক সালাহ্উদ্দিন শুভ অভিযোগ করে বলেন, দেশে এখন কোন প্রকার লোড শেডিং থাকার কথা নয়। তার পর পবিস লোড শেডিং করছেন। আর করোনা সংক্রমণকালে শিক্ষার্থীরা অন লাইনে লেখা পড়া করলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার। তাছাড়া বাসা বাড়িতেও গ্রহস্থালী কাজেও সমস্যা হচ্ছে।
পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবিস কুলাউড়া গ্রীড লাইন থেকে কমলগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে কুলাউড়া গ্রীড লাইন বন্ধ করে শ্রীমঙ্গল গ্রীড লাইন থেকে কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাহাড়ি এলাকা অতিক্রম করে কমলগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ জন্য পবিস কুলাউড়া গ্রীড লাইনের ওপর কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় নির্ভরশীল। কুলাউড়া গ্রীড লাইনের ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইনে মাঝে মাঝে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় সময় বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় কমলগঞ্জের বিদ্যুৎ গ্রাহরা সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চরিক কার্যালয়ের অধীন ১ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক দুর্বোগের শিকার হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টানা সাড়ে ৫ ঘন্টা পর বেলা ৪টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স¦াভাবিক হয়।
এ সম্পর্কে পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম (কম) ওবায়দুল হক বলেন, পবিস কুলাউড়া গ্রীড লাইনে ত্রুটির কারণে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। গ্রীড লাইন মেরামত শেষে আবার দেখা যায় কুলাউড়া গ্রীডের আন্ডার গ্রাইন্ড লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। এ ত্রুটি মেরামত করার চেষ্টা করেও মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে আবার শ্রীমঙ্গল গ্রীড লাইন থেকে বেলা ৩টায় কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল গ্রীড লাইনের লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকার বিদ্যুৎ লাইন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্বল। কোন প্রকার ভারী বৃষ্টি, ঝড় তুফান ও বজ্রপাত না হলে আর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হবে না। এ দিকের লাইনটি নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর বলেও এজিএম (কম) ওবায়দুল হক জানান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি