সব
সরকারের বহুল প্রচারে দূর্ঘটনার পরিমান কমেছে অনেকটাই । হেলমেট পরে গাড়ি চালানো , গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ ও পথনিরাপত্তা বিধি মেনে চলা এই নিয়ে প্রচার চলছেই, কিন্ত গ্রাম বাংলায় একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় ।
হবিগঞ্জের লাখাই সড়কে এলাকার বাসিন্দারা কেউ কেউ তাদের বাড়ির গৃহপালিত গবাদি পশুগুলি ছেড়ে দেয়। এগুলো যত্রতত্র ভাবে রাস্তায় চলাফেরা করে আবার কেউ কেউ রাস্তার ধারে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে ।
সেই সব পশু নিজের মনে কখনও রাস্তার এপার কখন ও ওপারে বিচরণ করে। ফলে রাস্তার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত দড়িটি টান টান অবস্থায় থাকে, কিংবা আবার মাটিতে পরে থাকে।
মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চালিয়ে দড়ি পার হওয়ার সময় গবাদি পশু ভয়ে সরতে গেলেই বিপদ বেড়ে যায়, ঘটে দুর্ঘটনা।
যার কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ব্যস্ত রাস্তায় গবাদি পশু আচমকা পারাপারে দুর্ঘটনা ঘটার উদাহরণ তো আছেই কিন্তু ব্যস্ত রাস্তায় কিছু দিন যাবৎ বেশ কিছু স্থানে হবিগঞ্জ – লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কে রাস্তার ধারে গবাদিপশু বেঁধে রাখছে ও অবাদে বিচরণ করছে ।
যা একপ্রকার মৃত্যু ফাঁদ, রাস্তার দুই পাশে অনেক সময় ছাগল, গরু ও বেড়া বাঁধা থাকছে । বিভিন্ন যানবাহন ও সিএনজি ( অটোরিকশা) মোটর সাইকেল আরোহী তার যানবাহন নিয়ে আহততো হচ্ছেই, তার সাথে সাথে গবাদি পশুটিও অনেক সময় প্রাণ হারাচ্ছে।
তাই সবার প্রথমে সেই সব গবাদী পশুর মালিকদের নিজেদের সচেতনতা দরকার। প্রসাশনের মাধ্যমে আরো সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতার বার্তা পোঁছালে ও রাস্তার ধারে গবাদিপশুকে দড়ি দিয়ে না বাধাঁলে গাড়ি চালকরা এই ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলেই মত অনেকের।
সিএনজি অটোরিকশা চালক কাসেম জানান, রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলচল করতে ভয় লাগে কখন ঘটে যায় দূর্ঘটনা।এসব ছাগল, বেড়া ও গরু কে সাবধানে রাখলে আমাদের এ ভয় থাকবে না। এব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে দেখবেন বলে জানান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি