সব
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। পাশাপাশি সংগঠনের নিয়ম-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষতির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সেই সাথে সংগঠনের নিয়ম-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। তবে জাপ্পিকে বহিস্কারের কারণ উল্লেখ করা হলেও জেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
জানা যায়, মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ার কথা বলে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগটি করেন মাধবপুরের বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মাহতাবুর আলম জাপ্পি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বলছেন- এই অভিযোগের কারণেই কেন্দ্রীয় সংসদ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে থাকতে পারেন।
এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে পদ দেয়ার নামে টাকা লেনদেনের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সমালোচনায় পড়তে হয় জেলা ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ দুই নেতাকে। অবশেষে সমালোচনার মুখে গত ২৮ জুলাই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত দুই নেতা।
এসময় তারা অভিযোগ করেন- জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মূলত তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করতেই একটি কু-চক্রী মহল তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি