সব
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বার বার টাকা ফেরত চেয়েও না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আল আমিন ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেলের এমন অভিযোগ হবিগঞ্জ শহরসহ সর্বত্রবিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ইমদাদুল হক ইমরান হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইমরান পূর্ব পরিচয় থাকার সুবাদে তেতৈয়া এলাকায় একটি বালু মহালে ব্যবসার সাথে ব্যবসায়ী রুমেলকে সম্পৃক্ততা করার প্রলোভন দেখান। আর তার বিনিময়ে তিনি রুমেলের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করে। এতে রাজি হয়ে ওইদিনই ব্যবসায়ী রুমেল ৭৫ হাজার টাকা দেন ইমরানকে। পরবর্তীতে ২ মার্চ বাকি ৫০ হাজার টাকা নেন ইমরান। কিন্তু টাকা দেওয়ার মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও ইমরান ওই ব্যবসায়ীকে তার বালু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত করেনি। এসময় ওই ব্যবসায়ী তার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন টালবাহনা করে ইমরান। এর পর বার বার টাকা চাইলেও জেলা ছাত্রদল সভাপতি টাকা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখান। এমনকি তাকে হত্যার হুমকিও দেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী রুমেল।
এ ব্যাপারে মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল বলেন, বিশ্বাস করে ব্যবসার জন্য জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ব্যবসা তো দূরের কথা এখন আমার আসল টাকাই ফেরত দিচ্ছেন না। উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি