সব
হবিগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে প্রধান করে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ১৫০ জনকে।
শুক্রবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদিউজ্জামান জানান।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন ছাড়াও অন্য উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, জেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমেদ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, আহবায়ক সৈয়দ মুশফিক, বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলাম শাহিন, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান সিতু, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জিকে গউছের ভাই আব্দুল গফফার, গোলাম মওলা, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মোজাক্কির হোসেন ইমন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ। মিছিল থেকে বিএনপির ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়া হয়। এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের মিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বাধে। টানা ২ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শহরের শায়েস্তানগর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় উভয় দলের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি