সব
হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে প্রেমিক ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে বাহুবল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ (২৩) ও তার বন্ধু বরগাঁও গাজী মোকাম গ্রামের মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (২৫)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহুবল মডেল থানার (ওসি তদন্ত) আলমগীর কবির জানান, ধর্ষণের শিকার আহত কিশোরী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে আসামিরা ধর্ষণ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
এর পুর্বে শুক্রবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহুবল মডেল থানার (ওসি তদন্ত) আলমগীর কবির এর নেতৃত্বে নবীগঞ্জের বরগাঁও এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, জুয়েল খাঁ’র সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাহুবল উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ওই কিশোরীর সাথে তার পরিচয় হয়। কয়েক দিন যেতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে জুয়েল প্রেমিকাকে তার সাথে দেখা করতে সিলেট শহরে আসতে বলে। এতে রাজি হয় ওই কিশোরী প্রেমিকা।
কিশোরী প্রেমিকা গত ৬ অক্টোবর বাসে করে সে সিলেট পৌঁছায়। সিলেট কদমতলী থেকে জুয়েল ও তার বন্ধু জুয়েদ মিলে সিলেট শহরের তালতলা আবাসিক হোটেল সুফিয়ার দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে কিশোরীকে রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে ওই কিশোরকে বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে (৮ অক্টোবর) বাহুবল মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা করে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি